সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একগলা জল পেরিয়ে যাওয়ার সময় করুণ মুখে এদিক-ওদিক তাকাচ্ছে পাঁচটি হরিণ। কাজিরাঙার নিরাপদ আশ্রয়ে জল ঢুকে পড়ায় গৃহহীন হয়ে পড়েছে তারা। তাই প্রাণ বাঁচাতে বেরিয়ে পড়েছে এক টুকরো উচুঁ জমির সন্ধানে। পরভীন কাসওয়ান নামে বনদপ্তরের এক আধিকারিক ওই সময়ের ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করতে ভাইরাল হয়েছে সেটি। ভিডিওটির নিচে পরভীন লিখেছেন, কাজিরাঙার ৯০ শতাংশ এলাকাই এখন জলের তলায়। ফলে বিপর্যস্ত হয়েছে বন্যপ্রাণও। প্রবল বৃষ্টির ফলে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাতে মানুষের পাশাপাশি নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছে পশুরাও।
ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসের ওই আধিকারিকের পোস্টটি ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায়। কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের পশুদের কষ্ট দেখে মর্মাহত হয়ে পড়েছেন নেটিজেনরা। তাঁদের মধ্যে একজন লিখেছেন, মানুষের লোভের ফল ভোগ করছে নিরীহ পশুরা। নিজেদের প্রয়োজনে মানুষ যথেচ্ছভাবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করেছে। তার ফলেই এই বিপর্যয়। আরেকজন লিখেছেন, এটা আমাদের সকলকেই সতর্ক করছে। অসমের এক বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন, প্রতিবছর একই ঘটনা পুনরাবৃত্তির হলেও বনদপ্তরের হুঁশ ফেরে না। তাদের অবহেলার ফলেই অকালে মারা যায় অনেক নিরীহ পশু।
এপ্রসঙ্গে অসমের এক বিধায়ক মৃণাল শাইকিয়া বলেন, “ভয়াবহ বন্যার ফলে কাজিরাঙার পশুরা খুব বাজে অবস্থার মধ্যে আছে। প্রচুর পরিমাণ গন্ডার, হরিণ ও হাতি বন্যার জলে আটকে আছে।”
টানা ১০ দিনের প্রবল বৃষ্টিতে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে অসমের বন্যা পরিস্থিতি। ৩৩টি জেলার মধ্যে ৩০টি বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। ফলে প্রায় ৩০ লক্ষের বেশি মানুষ ঘরছাড়া। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থা ও রাজ্য প্রশাসনের পাশাপাশি ত্রাণকার্যে হাত লাগিয়েছেন ১ হাজার সেনা জওয়ানও। তবে ব্রহ্মপুত্র নদীর পাশে অবস্থিত হওয়ায় কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের পরিস্থিতি খুব সঙ্গীন হয়ে পড়েছে। নদীর জল যত বাড়ছে ততই সমস্যা পড়ছে পশুরা।
This will melt your heart.
90% of #Kaziranga is under water now. #Disaster happens for #wildlife also. It increases when habitat is reduced and criss-crossed by other infrastructure. In the time of such disaster it becomes difficult for them to reach at a safer location. pic.twitter.com/E1yowPPJ1b
— Parveen Kaswan, IFS (@ParveenKaswan) July 16, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.