সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছাত্রসমাজ ভবিষ্যতের দূত। তারাই দেশের আওয়াজ। কারণ, তাদের কণ্ঠেই সূচনা হয় আগামির পদধ্বনি। কিন্তু সেই ছাত্রসমাজের উপরেই যখন নেমে আসে রাষ্ট্র-রাজনীতির খড়্গাঘাত, তখন? তখন কী হতে পারে, তার প্রতিফলন গোটা দেশেই চলছে। প্রতিবাদে মায়ানগরী মুম্বই থেকে তিলোত্তমা কলকাতার রাজপথে নেমেছেন আম জনতা, ছাত্রসমাজ তথা বিদ্বজ্জনেরা। বলিউডের ডাকসাইটেরা যখন ‘নীরব’, প্রথম সারির অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন এলেন জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। মুগ্ধভাবে শুনলেন কানহাইয়া কুমারের বক্তৃতা। রাজনৈতিক কারণে নয়, বরং মানবতার খাতিরেই। করজোড়ে বঙ্গকন্যা ঐশীর কাছে গিয়ে কথা বললেন।
রাত তখন ৮টা বেজে ১৫ মিনিট। জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবাসের যে চত্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন ঐশী ঘোষ, সেখানেই দাঁড়িয়ে বলিউড অভিনেত্রী। ছাত্র সমাজের পাশে তিনি। এও কী কম কথা! বলিউড তারকাদের থেকে কেউ তো অন্তত একজন এলেন আক্রান্ত ঐশীর সঙ্গে দেখা করতে, বলছেন পড়ুয়ারা। বলিউডের প্রথমসারির অভিনেতাদের বেশিরভাগই যখন মুখে কুলুপ এঁটেছেন, দীপিকা তখন সোজা গিয়ে পৌঁছলেন JNU ক্যাম্পাসে। সবরমতী হস্টেলের টি পয়েন্টে, ঠিক যেখানে মুখ ঢাকা দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ, সেখানেই গিয়ে আক্রান্ত ঐশীর পাশে দাঁড়ালেন দীপিকা। যার জন্য কটু কথাও শুনতে হয়েছে অভিনেত্রীকে।
যার দরুন JNU-তে পা রাখার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিজেপি নেতা তেজিন্দর পাল সিং বগ্গা দীপিকা পাড়ুকোনের সব ছবি বয়কটের ডাক দিয়ে ফেলেছেন। টুইটারেও ট্রেন্ড হয়েছে দীপিকার ছবিকে বয়কটের হ্যাশট্যাগ। মঙ্গলবার জেএনইউতে পা রেখে নেটিজেনদের একাংশের সমালোচনার শিকার হয়েছেন অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। তবে নেটিজেনদের কাছে আক্রমণের শিকার হলেও দীপিকার পাশে দাঁড়িয়েছেন বলিউডের একাংশ।
পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ, অনুভব সিনহা, অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর, সিমি গেরিওয়াল, পুজা ভাট, রিচা চাড্ডা থেকে সংগীতকার বিশাল দাদলানি, সমস্বরে প্রত্যেকে দীপিকা পাড়ুকোনের এই JNU যাওয়ার সিদ্ধান্তকে ‘সাহসিকতার’ পরিচয় বলে আখ্যা দিয়েছেন। মঙ্গলবার দীপিকা জেএনইউতে পা রাখলেই অনেকে ‘ছপাক’-এর প্রচার কিংবা ‘অভিনেত্রীর স্মার্ট জনসংযোগ’ বলে কটাক্ষ করেছেন। অনুরাগ বলেছেন, “ভয় পাই না, দীপিকার জন্য গর্বিত।” অনুরাগ দীপিকার জন্য টুইটারের প্রোফাইল পিকচার এবং কবার ফটোও বদলে ফেলেন।
More power to you @deepikapadukone and thank you for your solidarity and support. You might be abused or trolled today, but history will remember you for your courage and standing by the idea of India. pic.twitter.com/q9WkXODchL
— Kanhaiya Kumar (@kanhaiyakumar) January 7, 2020
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.