Advertisement
Advertisement
কর্ণাটক

বুরারির ছায়া কর্ণাটকে, পরিবারকে খুন করে আত্মঘাতী যুবক

আর্থিক কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।

Debt burden claims five lives of a Mysuru family in Karnataka

ছবিটি প্রতীকী

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:August 16, 2019 11:24 am
  • Updated:August 16, 2019 11:24 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বুরারি কাণ্ডের ছায়া দেখতে পাওয়া গেল কর্ণাটকে। বাবা, মা, স্ত্রী ও সন্তানকে গুলি করে খুনের পর আত্মঘাতী হলেন এক যুবক। তাঁর নাম ওঙ্কার প্রসাদ (৩৩)। বাকিরা হল তাঁর বাবা নাগরাজ ভট্টাচার্য (৬০), মা হেমলতা (৫৪), স্ত্রী নিকিতা (২৭) ও ছেলে আর্য কৃষ্ণন। ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের চামরাজনগর জেলার গন্ডুলুপেট এলাকায়। একটি মামলা দায়ের করে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: মেট্রোর পর বাসেও লাগবে না ভাড়া, রাখি পূর্ণিমায় মহিলাদের উপহার কেজরির]

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাইসুরুর বাসিন্দা ওই পরিবারের সদস্য ঘুরতে এসেছিলেন স্থানীয় বান্দিপুর জঙ্গল এলাকার একটি গ্রামের ফার্ম হাউসে। তিনদিন সেখানে থাকার গুন্ডুলপেট এলাকার নন্দী লজে আশ্রয় নেন। এরপর শুক্রবার রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ পরিবারের চার সদস্যকে পিস্তল দিয়ে গুলি করে খুন করেন ওঙ্কার। পরে ওই পিস্তল দিয়ে নিজেও আত্মহত্যা করেন।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনার কথা শুনেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান স্থানীয় থানার পুলিশকর্মীরা। মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। তদন্ত করার পরে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।

[আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসেও সীমান্তে গুলিবর্ষণ পাকিস্তানের, পালটা জবাবে খতম ৩ পাক সেনা]

এপ্রসঙ্গে চামরাজনগরের পুলিশ সুপার এইচডি আনন্দকুমার বলেন, খুন ও আত্মহত্যার একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে যে আর্থিক অভাবের জেরেই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন ওঙ্কার। তবে তদন্তের পরেই পুরো ঘটনা জানা যাবে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই উত্তর দিল্লির বুরারি এলাকায় একই সঙ্গে আত্মহত্যা করে একই পরিবারের ১১ জন। চোখ বাঁধা অবস্থায় ১০ জনের দেহ সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। অন্যদিকে ৭৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার হয় বাড়ির মেঝে থেকে। ১১ জনের মধ্যে সাতজন মহিলা ও বাকি চারজন পুরুষ ছিল। মৃতদের মধ্যে দু’জন শিশুও। ১ জুলাই সকাল ৮টা নাগাদ বুরারি এলাকার সন্ত নগর গুরু গোবিন্দ সিং হাসপাতালের কাছ থেকে একটি ফোন পায় পুলিশ। এরপরই ঘটনাস্থল গিয়ে ১১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই পরিবারের প্লাইউডের ব্যবসা ছিল এবং গত ২০ বছর ধরে তারা বুরারি এলাকায় বসবাস করত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement