সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাটের মচ্ছু নদীতে কেবল ব্রিজ ভাঙার (Gujarat Bridge Collapse) ঘটনায় মৃতের সংখ্যা একশো ছাড়িয়ে গেল। সোমবার সকালে গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভি বলেছেন, এখনও পর্যন্ত ১৩২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে গুজরাট সরকার। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে বিশদে তদন্ত শুরু করেছে গুজরাট। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
রবিবার সন্ধেবেলা ব্রিজ (Morbi Bridge Collapse) ভেঙে পড়ার পরেই উদ্ধারকাজ শুরু করে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। সেই কাজে যোগ দেয় ভারতীয় সেনাও। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও। সোমবার সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, “প্রায় ২০০ জন ব্যক্তি উদ্ধারকাজে শামিল হয়েছেন। এখনও নদীতে নেমে খোঁজাখুঁজি চলছে। গোটা ঘটনায় ফৌজদারি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।”
দুর্ঘটনায় আপাতত ১৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন হর্ষ। তিনি বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী গতকাল রাতেই আহমেদাবাদ থেকে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছেন। রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে দক্ষ অফিসারদের তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন এমন ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” অন্যদিকে, দিল্লি থেকে এই দুর্ঘটনা নিয়ে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, তিন বাহিনী প্রাণপন চেষ্টা চালাচ্ছে উদ্ধারকাজ সম্পন্ন করতে।
শুধুমাত্র বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীই নয়, উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, “সেতুর কেবল ধরে অনেকেই বাঁচার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু হাত ফস্কে পড়ে যান অনেকেই। তাঁদের মধ্যে গর্ভবতী মহিলারাও ছিলেন। আমি সারারাত ধরে সকলকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। জীবনে কোনওদিন এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে দেখিনি।”
প্রশ্ন উঠছে, কী করে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল? অভিযোগ, দীর্ঘদিনের পুরনো সেতুটি প্রায় সাত মাস ধরে মেরামত করেছিল একটি বেসরকারি সংস্থা। গুজরাটে বিধানসভা ভোটের কিছুদিন আগেই সেতুটি ফের সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়। তার এক সপ্তাহ পরেই বিপত্তি। স্বভাবতই এই ঘটনার পরে গুজরাট সরকারের ব্যর্থতার দিকে আঙুল তুলেছেন বিরোধীরা। মঙ্গলবার মোরবিতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.