সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৪ ঘণ্টা পার! অরুণাচলের টুটিং এলাকায় সেনার হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিখোঁজ পঞ্চম জওয়ানের দেহও উদ্ধার হল। দুর্ঘটনার পরই বিশেষ হেলিকপ্টারে করে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছিল টুটিংয়ে। শুক্রবার দিনভর তল্লাশির পর মোট ৪টি দেহ উদ্ধার করেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। নিখোঁজ ছিলেন একজন। সেনার (Indian Army) তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার পঞ্চম জওয়ানের দেহও উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে অরুণাচলের (Arunachal Pradesh) টুটিং এলাকায় মিগিং গ্রামের কাছে ভেঙে পড়েছিল অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার ‘রুদ্র’ (Rudra)। হেলিকপ্টারটিতে পাইলট-সহ পাঁচ জন ছিলেন। ভেঙে পড়ার কয়েক ঘণ্টা পরে প্রথমে দু’জনের দেহ উদ্ধার করে সেনা। শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত উদ্ধার হয় আরও দু’জনের দেহ। শনিবার উদ্ধার হয় পঞ্চম দেহটিও। মৃতরা হলেন মেজর বিকাশ ভাম্ভু, মেজর মুস্তফা বোহরা, সিএনএফ অশ্বিন কে ভি, হাবিলদার ব্রিজেশ সিনহা, এবং রোহিতস্য কুমার।
এদিকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার ঠিক আগেই এটিসিকে (ATC) সতর্কবার্তা পাঠিয়েছিলেন ওই বিমানের পাইলট। কপ্টারে যে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়েছে, সেটা নাকি এটিসিকে জানিয়েও দিয়েছিলেন তিনি। প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার ঠিক আগে নাকি পাইলট নাকি এটিসিকে ‘মে ডে কল’ পাঠিয়েছিলেন। যার অর্থ তাঁর কপ্টারে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়েছে। কী ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটি, সেটা দেখার জন্য ‘কোর্ট অব এনকোয়ারি’ বসানো হতে পারে বলে সেনা সূত্রে খবর। সব মিলিয়ে ওই দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
সেনা সূত্রে খবর, হেলিকপ্টারটি যখন ভেঙে পড়ে তখন আবহাওয়া পরিষ্কার ছিল। শুধু তাই নয়, ৬০০ ঘণ্টা ‘ধ্রুব’ হেলিকপ্টার চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল পাইলটের। শুধু তাই নয়, যান্ত্রিক ত্রুটির কথাও সম্ভবত বুঝতে পেরেছিলেন তিনি। তারপরও দুর্ঘটনাটি এড়ানো যায়নি। আপাতত যা পরিস্থিতি তাতে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বোঝা যাবে না দুর্ঘটনার কারণ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.