সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাঠুয়া ও উন্নাও-কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়৷ নির্ভয়া কাণ্ডের পরও যে দেশের মানসিকতার এতটুকু বদল হয়নি, তারই প্রমাণ এই ধর্ষণের ঘটনা৷ উত্তরপ্রদেশ থেকে ছত্তিশগড় বারংবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি৷ প্রশাসনিক ঔদাসীন্যে ধর্ষণে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে গড়িমসিও নতুন কোনও ঘটনা নয়৷ কোথাও কোনও বদল নেই৷ পরিবর্তন আনতেই এবার অনশনে বসেছেন দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালেওয়াল৷ এই নিয়ে টানা সাতদিন অনশন করছেন তিনি৷
[ ‘প্রভাবশালীর শয্যাসঙ্গিনী না হলে সাংবাদিক নয়’, বিজেপি নেতার ফেসবুক পোস্টে শোরগোল ]
কাঠুয়া কাণ্ড নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে৷ উন্নাও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল ধর্ষণে অভিযুক্তকে ধরতেও প্রশাসন কতটা ভীত৷ এমনকী বিচার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনেই গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন নির্যাতিতা৷ নির্ভয়া কাণ্ডের পর ধর্ষণ সংক্রান্ত আইনে কিছু বদল এসেছে ঠিকই৷ কিন্তু মানসিকতা বদলায়নি৷ বরং ধর্ষণকে আজও প্রতিশোধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে৷ ক্রমে তাই-ই হয়ে উঠছে রাজনৈতিক হাতিয়ার৷ দেশ যত সভ্য হচ্ছে, তত তার মুখে কালি ছেটাচ্ছে একের পর এক ঘটনা৷ বিদেশে গিয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এ নিয়ে অনাবাসী ভারতীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে৷ এমনকী সমালোচনা করেছেন আইএমএফ প্রধানও৷ নারীসুরক্ষায় আরও নজর দিতে মোদিকে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি৷ দেশের মধ্যেও এ নিয়ে চলছে দফায় দফায় বিক্ষোভ প্রদর্শন৷ এই যখন পরিস্থিতি তখন ধর্ষণের মানসিকতা বদলাতে অনশনে বসেছেন ডিসিএফ প্রধান স্বাতী মালেওয়াল৷
[ নারীসুরক্ষায় নজর দিন, মোদিকে পরামর্শ আইএমএফ প্রধানের ]
কাঠুয়া কাণ্ডের পর গত ১৩ এপ্রিল থেকে অনশনে বসেছেন তিনি৷ প্রথমে রাজঘাটে প্রার্থনা করেন৷ তারপরই গান্ধীজিকে সাক্ষী রেখে শুরু করেন তাঁর অনশন৷ এ কোনও প্রতীকী অনশন নয়৷ সংসদের কাজ ভণ্ডুল হওয়ার জন্য কিছুদিন আগেই অনশনে বসেছিলেন মোদি-শাহ ও বিরোধীরা৷ কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পরেই তা শেষ হয়ে গিয়েছিল৷ স্বাতী সে পথ মাড়াননি৷ টানা সাতদিন ধরে চলছে তাঁর অনশন৷ ইতিমধ্যে তাঁর সঙ্গে দেখা করে গিয়েছিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা৷ তাঁকে সমর্থন করতে এসেছিলেন বিজেপি নেতা শত্রুঘ্ন সিনহাও৷ প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন রাজ্যের স্কুল ও কলেজ থেকে ছাত্রীরা এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করে যাচ্ছেন৷ স্বাতীর দাবি, ধর্ষণ রুখতে আরও কঠোর হোক দেশের আইন৷ মৃত্যুদণ্ডের সাজা বিভিন্ন ক্ষেত্রে চালু করা হোক৷ হয়তো আইনের ভয় দেখানো সমাধানের একমাত্র পথ নয়৷ তবু এই ভয় যদি দেশের মহিলাদের পক্ষে সহায়ক হয়, তবে তাই হোক৷ সেই দাবিতেই চলছে তাঁর অনশন৷ তা সাতদিনে পড়ল, তবে স্বাতীর দাবি প্রশাসনের কানে পৌঁছাবে কি? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন৷
.@SwatiJaiHind did not eat “Chole Bhature” before fasting.
She is not fasting from 10 AM-4 PM.She is on a REAL hunger strike which has reached 6th day.
Her fight is not “her’s”, it’s “OUR’S” , it’s for the women in this country.
More power to her!#SwatiFasts4Justice pic.twitter.com/E49YLEFVnP— Retweeter (@ethicalsid) April 18, 2018
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.