Advertisement
Advertisement
Kerala

কেরল সোনা পাচার কাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে দাউদ ইব্রাহিম, আদালতে জানাল NIA

তদন্তের অগ্রগতির সঙ্গে বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

Dawood Ibrahim Link Suspected In Kerala Gold Smuggling Case | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:October 15, 2020 2:44 pm
  • Updated:October 15, 2020 2:44 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেরল সোনা পাচার কাণ্ডে তদন্তের অগ্রগতির সঙ্গে বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বুধবার আদালতে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA) জানায়, এই ঘটনার সঙ্গে যোগ থাকতে পারে কুখ্যাত আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের।

[আরও পড়ুন: জন্মদিনে ‘মিসাইল ম্যান’ কালামকে শ্রদ্ধা দেশবাসীর, জেনে তিনি তাঁর অবিস্মরণীয় অবদান]

NIA’র এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, এই পাচারচক্রের টাকা ভারত বিরোধী ও সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহার করা হয়। নিজের অভিযোগের সমর্থনে আর্থিক মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা Central Economic Intelligence Bureau’র একটি রিপোর্ট পেশ করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। NIA’র এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সোনা পাচারের টাকায় জেহাদি কার্যকলাপ যে চলছে তা জানে ‘Financial Action Task Force’।

Advertisement

উল্লেখ্য, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে উপ-দূতাবাসের মাধ্যমে কেরলের তিরুঅনন্তপুরমে সোনা পাচারের ঘটনায় কূটনৈতিক সুরক্ষাকবচ ছিল বলে গোড়া থেকেই দাবি করে এসেছিল NIA। এবার দাউদের হাত থাকার অভিযোগে রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে প্রতিরক্ষা মহল। তদন্তকারী সংস্থাটির দাবি, জঙ্গি কার্যকলাপের জন্যই দুবাই থেকে সোনা পাচার হচ্ছিল কেরলে। আর এই পাচারকাণ্ডে দুবাইয়ের মাফিয়া ডনের দলবল জড়িত ছিল বলেই অনুমান। এই সন্দেহের আরও একটা কারণ হল, পাচারকাণ্ডে ধৃত রামিসকে জেরা করে এমনই কিছু তথ্য পেয়েছে এনআইএ। তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, জেরায় রামিস বলেছে তাঞ্জানিয়ায় তার হিরের ব্যবসা ছিল। আমিরশাহিতে দীর্ঘদিন ধরেই সোনা বিক্রি করত সে। এই সোনাই ঘুরপথে কেরলে পাচার করা হচ্ছিল কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কেরলের সোনা পাচার নিয়ে মূল বিতর্কের সুত্রপাত গত ৪ জুলাই। ওইদিন সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে বেআইনিভাবে ৩০ কেজি সোনা কেরলের তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরে এসে পৌঁছয়। রাজ্যের আবগারি দপ্তর ওই সোনা বাজেয়াপ্ত করে। অভিযোগ ওঠে, কোনও কূটনৈতিক চ্যানেলকে কাজে লাগিয়ে আমিরশাহী থেকে কোটি কোটি টাকা মুল্যের ওই সোনা কেরলে এনেছে পাচারকারীরা। আর এর সঙ্গে স্বপ্না সুরেশ (Swapna Suresh) নামের এক মহিলা এবং সরিথ কুমার নামের এক ব্যক্তি যুক্ত। এরা দুজনেই আগে কেরলে অবস্থিত সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর (UAE) কনস্যুলেটে কাজ করতেন। বিরোধীদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের তৎকালীন প্রধান সচিব এম শিবশংকরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল পাচারকারীদের। সরকারি মদতেই এই চক্র চলছে কেরলে। যা রীতিমতো চাপে ফেলে দিয়েছে বিজয়ন সরকারকে।

[আরও পড়ুন: দেশে দৈনিক করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটা কমল, সামান্য বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement