Advertisement
Advertisement

Breaking News

Tamil Nadu

দলিত হওয়ার ‘সাজা’! সরকারি স্কুলে তেরঙ্গা উত্তোলন করতে দেওয়া হল না পঞ্চায়েত প্রধানকে

এমনকী হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে খবর সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকদেরও।

Dalit Panchayat Chief Not Allowed to Hoist Tricolour at Govt School on I-Day, Alleges Caste Discrimination
Published by: Abhisek Rakshit
  • Posted:August 19, 2020 4:35 pm
  • Updated:August 19, 2020 4:35 pm  

‌সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:‌ দেশ এগোচ্ছে। আধুনিক হচ্ছে সমাজ। তবুও এখনও রয়ে গিয়েছে বর্ণবৈষম্য (Caste Discrimination)। আর তাই তো কেবলমাত্র দলিত হওয়ার ‘অপরাধে’ স্বাধীনতা দিবসের দিন গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানকে জাতীয় পতাকাই তুলতে দেওয়া হল না। আগেরদিন আমন্ত্রণ জানিয়েও পরবর্তীতে আসতে বারণ করে দেওয়া হল অনুষ্ঠানে। ঘটনাটি তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) ত্রিভাল্লুর (Tiruvallur) জেলার আথুপুক্কাম গ্রামের। অভিযোগের তির গ্রামেরই উঁচু বর্ণের কয়েক জনের বিরুদ্ধে। তবে এখানেই শেষ নয়, যে সাংবাদিকরা খবরটি প্রকাশ্যে আনেন, তাঁদেরও হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে বলে খবর।

[আরও পড়ুন: আহত ISIS জঙ্গিদের চিকিৎসার জন্য অ্যাপ তৈরি, বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেপ্তার ‘জেহাদি’ ডাক্তার]

গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান ৬০ বছর বয়সি ভি আমুরথাম তাঁর অভিযোগে জানান, স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) আগে স্থানীয় একটি সরকারি স্কুলের পক্ষ থেকে তাঁকে পতাকা তোলার জন্য ডাকা হয়। তিনি রাজিও হন। কিন্তু আধ ঘণ্টা পরই করোনার সংক্রমণের অজুহাতে তাঁকে ওই অনুষ্ঠানে আসতে বারণ করা হয়। যদিও পরদিন অনুষ্ঠানটি সম্পন্নও হয়। এমনকী জাতীয় পতাকাও তোলা হয়। আর এরপরই আসল কারণটি বুঝতে পারেন আমুরথাম।

Advertisement

এই প্রসঙ্গে তাঁর ছেলে জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তাঁর মায়ের সঙ্গে এমন ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্ণবৈষম্যের শিকার হয়েছেন তাঁর মা। দলিত সম্প্রদায়ের হওয়ায় পঞ্চায়েতের অফিসেও যেতে পারেন না তিনি। কোনও সই করার দরকার পড়লে তবেই সেখানে যান আমুরথাম। শুধু তাই নয়, তাঁদের অভিযোগ এখনও প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানই সেখানে সর্বেসর্বা। আর দলিত হওয়ায় নিজের সম্মানটুকুও পান না আমুরথাম। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার হুমকিও মিলেছে। আর তাই নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর চিন্তাভাবনা করছেন তিনি। এমনটাই জানিয়েছেন তাঁর ছেলে।

[আরও পড়ুন: ফুসফুসে সংক্রমণ, প্রণব মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি, জানাল হাসপাতাল]

এদিকে, এই খবরটি সংগ্রহ করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হতে হয় সাংবাদিকদেরও। জানা গিয়েছে, যেসময় পঞ্চায়েত অফিসটিতে যান দুই সাংবাদিক, তখন সেখানে কেউ ছিলেন না। এরপর তাঁরা ফুটেজ সংগ্রহ করার কাজ শুরু করতেই এম এঝিলারাসান এবং ইয়াকুব নামে দুই সাংবাদিককে কাজ বন্ধ করতে বলেন পঞ্চায়েত সচিব শশীকুমার এবং সহ–সভাপতির স্বামী বিজয়কুমার। শুরু হয় বচসা। এসময়েই দু’‌জনে ওই সাংবাদিকদের হেনস্তা করেন বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলে দু’‌জনকেই আটক করা হয়। ইতিমধ্যে গোটা ঘটনায় তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন জেলাশাসক।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement