সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের দাদরিকাণ্ডের পর দু’বছর কেটে গিয়েছে৷ ১৫ জন অভিযুক্তের সকলেই এখন জামিনে মুক্ত৷ তাদের কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশন বা NTPC-তে চুক্তির ভিত্তিতে কাজের ব্যবস্থা করে দিলেন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক তেজপাল সিং নগর৷ জেলে থাকাকালীন রবিন সিসোদিয়া নামে এক অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছিল৷ বিধায়ক জানিয়েছেন, তাঁর পরিবারকে ৮ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে৷ আগামী একমাসের মধ্যে প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পাবেন মৃতের স্ত্রী৷
[গো-রক্ষার নামে দাদাগিরি, সংখ্যালঘুদের থেকে কাড়া হল ৫১টি গরু]
গত মে মাসে পশুহাট বা পশুবাজারে গবাদি পশু বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মোদি৷ তারপর থেকে দেশ জুড়ে স্বঘোষিত গো-রক্ষকদের তাণ্ডব বেড়েই চলেছে৷ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গো-মাংস গুজবে গণপিটুনিতে প্রাণহানি ঘটনা ঘটেছে৷ বস্তুত, শনিবারও হরিয়ানার ফরিদাবাদে গো-মাংস বহন করার অভিযোগে এক অটোচালক-সহ পাঁচজন বেধড়ক মারধর করা হয়৷ তবে এসবের বহু আগে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে উত্তরপ্রদেশের দাদরিতে গো-রক্ষকদের তাণ্ডবে প্রাণ গিয়েছিল মহম্মদ একলাখ নামে এক ব্যক্তির৷ বাড়ির ফ্রিজে গো-মাংস রাখার অভিযোগে তাঁর বাড়িতে চড়াও হয় স্থানীয় গ্রামবাসীরা৷ একলাখ ও তাঁর ছেলে বেধড়ক মারধর করা হয়৷ গণপিটুনিতে মারা যান মহম্মদ একলাখ৷ ঘটনায় ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ তবে অভিযুক্তদের পাশে দাঁড়ায় বিজেপি৷ উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার ক্ষমতার আসার পর, সকলেই জামিনে মুক্তি পায়৷ আর এবার দাদরিকাণ্ডে অভিযুক্তদের চাকরিরও ব্যবস্থা করে দিলেন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক তেজপাল সিং নগর৷ কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা NTPC-তে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক পদে চাকরি পেয়েছে তারা৷ বিধায়ক তেজপাল সিং নগর বলেন, ‘ওরা প্রত্যেকেই নির্দোষ৷ আমি ওঁদের পরিবারের ভাল করার চেষ্টা করেছি৷ জেলে যে ছেলেটি মারা গিয়েছিল, তার পরিবারের জন্য ৮ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেছে সরকার৷ ওর স্ত্রীকেও প্রাথমিক স্কুলে চাকরি দেওয়া হবে৷’
[ফ্রিজের মধ্যে তিন টুকরো দেহ, যুবকের নৃশংস খুনে সন্দেহ বন্ধুকে]
স্থানীয় বিধায়ক সুপারিশ করেছেন৷ তবে দাদরিকাণ্ডে অভিযুক্তদের চাকরি দিয়েছে NTPC৷ কীভাবে তাদের নিয়োগ করা হল? NTPC কর্তৃপক্ষের দাবি, দাদরিতে সংস্থার তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের লাগোয়া জমিতে নতুন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে৷ সেই প্রকল্পের জন্য জমির বিনিময়ে যোগ্যতার ভিত্তিতেই গ্রামবাসীদের চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে৷ এরসঙ্গে দাদরিকাণ্ডে কোনও সম্পর্ক নেই৷ এদিকে মহম্মদ একলাখের ছেলে দানিসের বক্তব্য, গ্রামবাসীরা যদি চাকরি পায়, তাহলে আপত্তির কিছুই নেই৷ তবে তাঁর বাবা মৃত্যুর ঘটনার যেন ন্যায় বিচার হয়৷ এই ঘটনায় বিজেপির ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে উত্তর প্রদেশের বিরোধী দলগুলি।
[‘রাজনীতিক’ রাহুলের মুখে এমন কথা শোভা পায় না, খোঁচা সুষমার]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.