সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ঝড়বৃষ্টির কবলে পড়তে চলেছে দক্ষিণের দুই রাজ্য৷ ভারত মহাসাগরের উপর রয়েছে একটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপ। সেটি দফায় দফায় শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিচ্ছে৷ মৌসম ভবন সূত্রে খবর, এপ্রিলের শেষের দিকে উত্তর তামিলনাড়ু ও দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের কাছাকাছি আসবে ঘূর্ণিঝড়। ২৯ এপ্রিল থেকে ওই দুই রাজ্যে প্রবল বর্ষণ ও ঝোড়ো বাতাস বইতে পারে৷ তবে এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত বাংলায় ঘূর্ণিঝড়ের কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই জানিয়েছেন আবহবিদরা। ঘূর্ণিঝড় অন্ধ্রপ্রদেশ বা তামিলনাড়ু হয়ে স্থলভাগে ঢুকে গেলে বাংলায় কোনও চিন্তা থাকবে না। কিন্তু উপকূল ধরে ওড়িশার দিকে সরে এলে তখন এ রাজ্যেও বৃষ্টি হতে পারে।
মৌসম ভবন সূত্রে খবর, আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত তামিলনাড়ুর পাশাপাশি কেরল, কর্ণাটকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে৷ বইতে পারে ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া৷ ইতিমধ্যেই মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷ যাঁরা আপাতত গভীর সমুদ্রে রয়েছেন, তাঁদের শুক্রবার গভীর রাতের আগে ফিরে আসার পরামর্শ দিয়েছেন আবহবিদরা৷ এর্নাকুলাম, ইদুক্কি, ত্রিশুর, মালাপ্পুরম, পাঠানমত্থিতা, কোট্টায়াম, ওয়ানড়, কোঝিকোড়ে, পালাক্কার-সহ বেশ কয়েকটি ধসপ্রবণ জেলায় জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা৷ সমুদ্রের কাছাকাছি এলাকার বাসিন্দাদেরও সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷ যে কোনও মুহূর্তে তাঁদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে উপকূল বাহিনী৷ যে ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়তে চলেছে, তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফণী’। ঘূর্ণিঝড়ের নামটি বাংলাদেশের দেওয়া৷ তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশে ভোট মিটে গিয়েছে৷ তবে ওড়িশাতে আগামী ২৯ এপ্রিল শেষ হয়ে যাবে ভোটাভুটি৷ সেক্ষেত্রে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভোট প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷ মৌসম ভবনের সতর্কতা অনুযায়ী সন্ত্রাস বিধ্বস্ত শ্রীলঙ্কাতেও আছড়ে পড়তে পারে ‘ফণী’৷
এদিকে, বাংলাতেও ক্রমশ চড়ছে তাপমাত্রার পারদ৷ এপ্রিলের শেষেই পশ্চিমের জেলাগুলির তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে৷ বইতে পারে লু৷ বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় বজায় থাকবে ভ্যাপসা গরম। আপাতত ঝড়বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.