Advertisement
Advertisement

Breaking News

ঘূর্ণিঝড়

আবারও ধেয়ে আসছে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়

বড়সড় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন আবহবিদরা৷

Cyclone Mahasen may be hit North East India in next 72 hours

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sayani Sen
  • Posted:May 16, 2019 2:55 pm
  • Updated:May 16, 2019 4:42 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফণীর রেশ এখনও কাটেনি৷ ওড়িশায় ক্ষয়ক্ষতির স্মৃতি আজও দগদগে৷ তারই মাঝে আবার ধেয়ে আসছে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়৷ আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর-পূর্ব ভারতে প্রবল ঝড়বৃষ্টি আছড়ে পড়বে বলেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷ বাংলাদেশ উপকূল হয়ে আছড়ে পড়তে পারে মায়ানমারেও৷

[আরও পড়ুন: কাজের টোপ দিয়ে ওমানে পাচার, উদ্ধারের পর সুষমাকে ধন্যবাদ হায়দরাবাদের মহিলার]

আবহবিদদের দাবি, ক্রমশই চোখ রাঙাচ্ছে আরও এক ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়। তার প্রভাব পড়বে অসম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম ও ত্রিপুরায়। প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের জেরে বজ্রবিদ্যুৎ‍-সহ ঝড় ও প্রবল বৃষ্টি হতে পারে। ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে বলে মনে করছেন আবহবিদরা। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর-পূর্ব ভারতে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে বলে সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। বাংলাদেশের চট্টগ্রামের কাছে খেপুপারা এবং টেকনাফের মধ্যে দিয়ে ঘূর্ণিঝড় মায়ানমারে প্রবেশ করবে। আগামী তিন দিন উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে ভারী ঝড়বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে যাতায়াতের ক্ষেত্রেও জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা৷ নাগাল্যান্ড প্রশাসনের তরফে সাধারণ মানুষকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ‘ঐতিহাসিক সত্য বলেছি’, গডসেকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলা নিয়ে সাফাই কমল হাসানের]

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ওড়িশায় আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ফণী৷ আবহবিদদের সতর্কতা এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের তৎপরতা সত্ত্বেও এড়ানো যায়নি প্রাণহানি৷ ৪৩ বছরের সবচেয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের ছোবলে প্রাণহানি হয়েছে ষাটেরও বেশি মানুষের৷ ওড়িশার উপকূলবর্তী এগারোটি জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে৷ বিভিন্ন জায়গায় গাছও উপড়ে গিয়েছে৷ ভেঙে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি৷ ফণী পরবর্তী অবস্থায় ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দারা প্রায় আটদিন বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ছিলেন৷ এরপর তা অভিমুখ বদল করে বাংলায় ঢুকে পড়ে৷ যদিও প্রবল শক্তি হ্রাস হওয়ার ফলে সেভাবে বঙ্গে কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি ঘূর্ণিঝড়৷ মেদিনীপুরে সামান্য ক্ষয়ক্ষতির পর তা মোড় নেয় বাংলাদেশের দিকে৷ শক্তি কমে গেলেও ফণীর প্রভাবে ওপার বাংলার অন্তত ১৬জনের মৃত্যু হয়েছে৷ ভেঙে গিয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং গাছপালা৷  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement