Advertisement
Advertisement

বিজেপিকে হঠাতে কৌশলগত জোটের পক্ষে সওয়াল কংগ্রেসের

১২ টি রাজ্য থেকে ১৫০ টি আসনের লক্ষ্যে কংগ্রেস।

Congress-bats-for-strategic-alliance-with-regional-parties
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 22, 2018 2:57 pm
  • Updated:July 22, 2018 5:32 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লক্ষ্য ২০১৯-এ বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করা। আর তাঁর প্রয়োজনে ব্যক্তিগত স্বার্থ সরিয়ে আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে কৌশলগত সমঝোতার পক্ষেই সওয়াল করল কংগ্রেসের কার্যকরী কমিটি। সভাপতি হওয়ার পর এই প্রথমবার কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নিয়ামক কমিটির বৈঠকের নেতৃত্ব দিলেন রাহুল গান্ধী, স্বাভাবিকভাবেই ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু দলকে ফের লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনার জন্য কী টোটকা দেন রাহুল সেদিকে নজর ছিল গোটা দেশের রাজনৈতিক মহলের। তাছাড়া ১৯-এ বিজেপি বিরোধিতায় কংগ্রেসের ভূমিকা কী হবে তা নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা ছিল বৈঠকে।

বৈঠকে কংগ্রেস সভাপতি চেনা ভঙ্গিতেই ভালবাসার বার্তা দিলেন। বৈঠকে রাহুল বললেন গোটা দেশের আওয়াজ হয়ে উঠতে হবে কংগ্রেসকে। পিছিয়ে পড়া, নির্যাতিত মানুষের আওয়াজ সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে দিতে হবে। রাহুল বলেন, মোদি সরকারের বিদায়ের দিন গোনা শুরু হয়ে গিয়েছে। দলে নবীন-প্রবীণের অন্তর্দ্বন্দ্ব রুখতে এদিন কংগ্রেস সভাপতি বলেন, কংগ্রেসের কার্যকরী কমিটি আসলে অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের মেলবন্ধন, অতীত এবং ভবিষ্যতের মাঝখানের সেতু। তবে, এদিনের বৈঠকেও নবীন-প্রবীণের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলেই এল। সদ্য কার্যকরী কমিটি থেকে বাদ পড়া দুই বর্ষীয়ান নেতা জনার্দন দ্বিবেদী এবং দিগ্বিজয় সিং এদিনের বৈঠকে আমন্ত্রিত হওয়া সত্ত্বেও হাজির হননি। 

[জিএসটি কমল ৮৮টি পণ্য সামগ্রীতে, জেনে নিন সস্তা হল কোন কোন জিনিস]

রাহুলের বক্তব্যের আগেই কার্যকরী কমিটির কাছে আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে কৌশলগত জোটের প্রস্তাব দেন প্রাক্তন সভানেত্রী তথা ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধী। সনিয়া বলেন, ব্যক্তিগত স্বার্থ ভুলে আমাদের আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে কৌশলগত সমঝোতার পথে যেতে হবে। বৈঠকে উপস্থিত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আত্মপ্রচার আর জুমলাবাজির তীব্র বিরোধিতা করেনি।

 

প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম বাস্তবে দলের শক্তি দুর্বলতা তুলে ধরার চেষ্টা করেন, এবং আগামিদিনে কী কৌশল হওয়া হওয়া উচিত তা বর্ণনা করেন। চিদম্বরম বলেন, এই মুহূর্তে ১২টি রাজ্যে শক্তিশালী কংগ্রেস। এই ১২টি রাজ্য থেকে গতবারের আসনসংখ্যার প্রায় ৩ গুণ আসন পেতে পারে দেশের সবচেয়ে পূরনো দল। চিদম্বরমের লক্ষ্য শক্তিশালী ১২টি রাজ্য থেকে ১৫০টি এবং বাকি রাজ্যগুলিতে ছোট দলগুলির সঙ্গে কৌশলগত জোট করে আরও আসন দখল করা। প্রথমদিনে বৈঠকের যা সারমর্ম তাতে বোঝা যায় বিজেপিকে সরাতে প্রয়োজনে ছোট শরিকের ভূমিকাও নিতে পারে কংগ্রেস।   

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement