Advertisement
Advertisement

Breaking News

বিয়ের উপহার হিসেবে পাওয়া সব অর্থ সেনা খাতে দেবেন CRPF জওয়ান

অভিনব উদ্যোগ প্রশংসা পেয়েছে সকলের।

CRPF Sub-Inspector to donate his wedding money to Army Fund
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:April 3, 2019 9:31 pm
  • Updated:April 3, 2019 9:31 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলওয়ামায় ভয়ংকর সেই জঙ্গি হামলার ঘা আজও ভারতীয়দের মনে দগদগে। যে ঘটনায় শহিদ হয়েছিলেন চল্লিশ জনেরও বেশি সিআরপিএফ জওয়ান। সেই কালোদিনের কথা এখনও চোখে ভাসে দেশবাসীর। ভাসে সিআরপিএফ সাব-ইনস্পেক্টর বিকাশ খাড়গাওয়াতের চোখেও। নিজে একজন সিআরপিএফ জওয়ান। তাই শহিদ পরিবারের কষ্টটা আরও বেশি করে অনুভব করতে পারেন তিনি। আর তাই জওয়ানদের পাশে দাঁড়াতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।

আগামী ১৩ এপ্রিল বিকানেরে সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে কর্মরত সিআরপিএফ এসআই বিকাশ। ১৫ তারিখ শ্রীগঙ্গানগরে হবে তাঁর রিসেপশনের অনুষ্ঠান। আর বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য একেবারে অন্যরকমভাবে নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। বিয়ের কার্ডে তিনি লিখেছেন, বিয়েতে আমন্ত্রিতদের থেকে উপহার হিসেবে নগদ যত টাকা পাবেন, তার সবটা তিনি সিআরপিএফের খাতে জমা দেবেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সাজা শেষ হওয়ার পরও পাকিস্তানের জেলে বন্দি ১০ ভারতীয়, ফেরাতে উদ্যোগ কেন্দ্রের]

এক সংবাদমাধ্যমকে বিকাশ বলেন, তাঁদের শহরে পণপ্রথা অত্যন্ত প্রচলিত একটি বিষয়। তাঁর বাবা সরকারি চাকরিজীবী ছিলেন। কিন্তু বিয়ের সময় শপথ নিয়েছিলেন, পুত্র সন্তানের জন্ম হলে ছেলে যেন পণ না নেয়। বাবার কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েই এগিয়েছেন বিকাশ। তাঁর বাবা আরও বলেছিলেন, বিয়েতে আমন্ত্রিতদের থেকে কোনও উপহার নেওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু সামাজিক নিয়ম মেনেই বিয়ের অনুষ্ঠানে উপহার নিয়েই হাজির হন নিমন্ত্রিতরা। কিন্তু সেটাকেও তো ভাল কাজে লাগানো যেতেই পারে। আর তাই জওয়ানদের পরিবারের সাহায্যার্থে তৈরি ‘ভারত কে বীর’ খাতেই উপহারের সব টাকা দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশের এই বীর যোদ্ধা। বিকাশের কথায়, “বিকানের ও শ্রীগঙ্গানগরে অনেক আত্মীয় স্বজন আসবেন। বিয়ে উপলক্ষে আমাকে ও আমার হবু স্ত্রী কমলকে উপহার হিসেবে টাকাও দেবেন। সেই টাকা দেওয়ার জন্য একটা বাক্স রাখব। সেই বাক্সটিই তারপর পৌঁছে দেব ডিসট্রিক্ট কালেকটরের কাছে। সেখান থেকে চলে যাবে ভারত কে বীর খাতে।”

crpf card

বিকাশ জানান, এমন সিদ্ধান্তে প্রথমে পাত্রীর বাড়ির লোকেরা রাজি না হলেও পরে তাঁর এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেন প্রত্যেকেই। বিকাশের এমন প্রয়াস নিঃসন্দেহে বাকিদের সামনে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। খাঁকি উর্দিতে দেশসেবার পাশাপাশি আর্থিক দিক থেকে শহিদ পরিবারের পাশেও যে সহজেই দাঁড়ানো সম্ভব, তাই প্রমাণ করে দিলেন বিকাশ।

[আরও পড়ুন: মাত্র ১৪ মাসেই তলানিতে বিপ্লবের জনপ্রিয়তা, ত্রিপুরায় দ্রুত বাড়ছে কংগ্রেস]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement