সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : দেশের প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে বড়সড় পদক্ষেপ। এবার থেকে সিআরপিএফ জওয়ানদের ব্যবহার করা অস্ত্রে থাকবে ট্র্যাকার। যাতে লুট হয়ে যাওয়া অস্ত্রের অপব্যবহার করা না যায়। অনেকক্ষেত্রেই মাওবাদী হামলায় লুট হয় সিআরপিএফ ক্যাম্পের মজুত অস্ত্র, আবার জওয়ানদের ওপর হামলা চালিয়ে অস্ত্র লুট করে জঙ্গিরা। সেই অস্ত্রই ব্যবহার করা হয় জওয়ানদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে।
দেশের সবচেয়ে বড় আধাসামরিক বাহিনীর ব্যবহার করা আগ্নেয়াস্ত্রে ট্র্যাকার থাকলে, লুট হওয়ার পর সেই অস্ত্র কোথায় রয়েছে, কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য থাকবে সিআরপিএফের কাছে। এই ট্র্যাকার মূলত ব্যবহার করা হবে জম্মু কাশ্মীর ও মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকার জন্য। সিআরপিএফ জওয়ানদের হাতে থাকা স্বংয়ংক্রিয় এ কে সিরিজের রাইফেল, এসএলআর, ইনসাস রাইফেল ও রিভলবারে ট্র্যাকার রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। এই আগ্নেয়ান্ত্র মূলত ব্যবহার করা হয় মাওবাদী দমন অপারেশন বা জঙ্গি দমন অভিযানে।
[ফের লাল গ্রহে পাড়ি? নতুন ল্যান্ড রোভার হাজির করল নাসা]
সেনা সূত্রে খবর, এই ট্র্যাকার তৈরি করছে কিছু বেসরকারী সংস্থা। সিআরপিএফের সহযোগিতায় আ্গ্নেয়াস্ত্রে বসানো হবে জিপিএস, রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন চিপ বা বায়োমেট্রিক সফটওয়্যারের মতো প্রযুক্তি। শুধু লুট হওয়া অস্ত্র ট্র্যাক করাই নয়, প্রয়োজনে সেটিকে নিষ্ক্রিয়ও করা যাবে। ফলে মাওবাদী বা জঙ্গিদের হাতে চলে যাওয়া সেই অস্ত্র অপব্যবহারের আশঙ্কা থাকবে না।সিআরপিএফ-এর ডিজি রাজীব রাই ভাটনগর জানান, এখনও গোটা বিষয়টি পরিকল্পনার স্তরেই আছে। তবে দ্রুত এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো কয়েকটা দেশে আগ্নেয়াস্ত্রে জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।
[শাহরুখ-অনুষ্কাকে নিয়ে কি ‘জব উই মেট’-এর সিরিজ বানাচ্ছেন ইমতিয়াজ আলি?]
এর আগে, চব্বিশে এপ্রিল সুকমায় মাওবাদী হামলার পর নড়েচড়ে বসে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক । পরে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করার ইঙ্গিত দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.