সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত জেট এয়ারওয়েজ ১৩টি আন্তর্জাতিক রুটে বিমান চলাচল বন্ধ করে দিল। বন্ধ করা হল মুম্বই ও দিল্লি থেকে আরও সাতটি বিমানের উড়ান। বন্ধ হল কলকাতা-ঢাকা রুটের বিমান চলাচলও। এর জেরে বিপাকে পড়লেন চিকিৎসার জন্য কলকাতার উপর নির্ভরশীল বাংলাদেশি রোগীরা। সমস্যা হবে ঘনঘন ঢাকায় আউটসোর্সিংয়ের কাজে যাওয়া আইটি কর্মীদেরও।
আত্মীয়-পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে ওপার বাংলায় যেতে এপার বাংলার মানুষের বড় ভরসা ছিল কলকাতা থেকে ছাড়া ঢাকাগামী জেটের বিমান। সেই যাত্রাপথও এবার হবে কঠিন। শনিবার জেট এয়ারওয়েজের তরফে জানানো হয়, সংস্থার মুম্বই-আবুধাবি, মুম্বই-বাহরিন, মুম্বই-দাম্মাম, মুম্বই-হংকং, পুণে-আবুধাবি, পুণে-সিঙ্গাপুর রুটের বিমান পরিষেবা বন্ধ করা হল। এছাড়া দিল্লি থেকে আবুধাবি, দাম্মাম, ঢাকা, হংকং এবং রিয়াধ কোনও বিমান যাওয়া আসা করছে না। বেঙ্গালুরু-সিঙ্গাপুর রুটে প্রতিদিন দু’টি করে জেটের বিমান চলত, সেগুলিও বন্ধ করা হয়েছে। দৈনিক বিমানের সংখ্যা কমানো হয়েছে দিল্লি থেকে ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর, মুম্বই থেকে ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর, দোহা ও কুয়েত রুটে।
৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ১৩টি রুটে বিমান বাতিল করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে জেট এয়ারওয়েজের ৫৪টি বিমান। বকেয়া টাকা না মেটানোর জন্যেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে সংস্থাটিকে। শুক্রবারই তিন মাসের বেতন না পাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে জানানো হয়েছে বলে দাবি করেন জেটের বিমানচালক ও ইঞ্জিনিয়াররা। দু’দিন আগেই জেট এয়ারওয়েজের পাইলটরা হুমকি দিয়েছিলেন, ৩১ মার্চ পর্যন্ত বকেয়া বেতন না দেওয়া হলে ১ এপ্রিল থেকেই আর কাজ করবেন না তাঁরা। কর্মীদের আশঙ্কা, যে কোনও সময় ঝাঁপ বন্ধ হতে পারে জেটের।
[বিধ্বস্ত খিলাফত, ৪ বছরের যুদ্ধে শেষে পরাস্ত ইসলামিক স্টেট]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.