সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যোশীমঠের আতঙ্ক এবার উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বরে। কুমায়ন অঞ্চলের অন্তর্গত প্রায় ২৫টি গ্রামের দুশোর বেশী বাড়িতে বিপজ্জনক ফাটল নজরে এসেছে। রাস্তাতেও দেখা গিয়েছে চওড়া ফাটল। এই ঘটনায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন গ্রামবাসীরা। এই ঘটনার জন্য এলাকায় বেলাগাম খননকে দায়ী করেছেন এলাকাবাসী।
জানা যাচ্ছে, এই এলাকায় অন্তত ১৩১টি সরকার অনুমোদিত পাথর খাদান রয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সেই খাদানগুলিতে ভারি ভারি যন্ত্র ও বিস্ফোরণের জেরেই এই ঘটনা। যেভাবে এলাকায় ফাটল দেখা দিতে শুরু করেছে তাতে শতাধিক গ্রাম তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ কান্দা ও রিমা উপত্যকা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যে এলাকার বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের কাজ শুরু করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
স্থানীয় বাসিন্দা ঘনশ্যাম জোশীর দাবি, বাগেশ্বর জেলায় মোট ৪০২টি গ্রাম রয়েছে। তার মধ্যে শতাধিক গ্রাম ধীরে ধীরে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কান্দা এবং রিমা উপত্যকা। রাস্তা, মাঠ, বাড়িঘরে ফাটল তো দেখা যাচ্ছেই, তার সঙ্গে সেগুলি বসে যেতেও শুরু করেছে বিপজ্জনক ভাবে। শুরু হয়েছে পুনর্বাসনের কাজ। জেলার খনি আধিকারিক জিজ্ঞাসা বিস্ত বলেন, ‘বছর দুয়েক আগে ওই অঞ্চলে খননের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কান্দা গ্রামে ৭-৮টি বাড়ির দেওয়াল ও ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে।’ গত ৩ সেপ্টেম্বর আধিকারিকদের সঙ্গে এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। বাগেশ্বর জেলার বিপর্যয় মোকাবিলার আধিকারিক শিখা সুয়াল বলেন, ঝুঁকি রয়েছে এমন অন্তত ১১টি গ্রামকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ১৩১টি পরিবারকে পুনর্বাসন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক তথা এলাকার এক খনির মালিক বলওয়ান্ত ভাউরিয়াল বলেন, গ্রামবাসীদের অনুমতিতে তাদেরই জায়গায় এই খনিগুলি গড়ে উঠেছে। ফলে তাঁদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে খননের প্রশ্নই ওঠে না। আগে এই এলাকায় ১২১টি খনি ছিল তবে বর্তমানে মাত্র ৪০টি খনি চলছে। অবশ্য উত্তরাখণ্ডে এই ঘটনা প্রথমবার নয়, এর আগে একই ঘটনা ঘটেছিল উত্তরাখণ্ডের জোশী মঠে। যার জেরে হাজারেরও বেশি পরিবার অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.