সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ‘অঘটন’ পুরীতে (Puri)। রথযাত্রার (Rath Yatra) পরদিনই গুণ্ডিচায় ঢুকে প্রায় ২০টি উনুন ভাঙচুর করেছিল দুষ্কৃতীরা। এবার ভগবান বলরাম ও দেবী সুভদ্রার রথের চাকায় দেখা গেল ফাটল। আচমকা তৈরি হওয়া এই ফাটলকে ‘অমঙ্গলজনক’ বলে মনে করছেন ভক্ত ও অনুগামীরা।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্দিরের পর্যবেক্ষণকারী দল বলরামের রথ তালধ্বজ ও সুভদ্রার রথ দর্পদলনা রথ দু’টির চাকায় ফাটল দেখতে পেয়েছে। তালধ্বজের ‘পিডিনাকাহা’ ও দর্পদলনার ‘বাদাউচুলা’ চাকায় ফাটল ধরেছে। মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, ওই দুই চাকায় লোহার পাত লাগানো হবে।
শুক্রবার আরম্ভ হয়েছে রথযাত্রা উৎসব। উলটো রথ পর্যন্ত প্রতিদিনই কিছু না কিছু রীতি পালিত হয়। মঙ্গলবারই ছিল ‘দক্ষিণামোদা’ রীতি পালনের দিন। তার ঠিক আগে মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে চাকাগুলি পরীক্ষা করার সময় ফাটলগুলি দেখতে পান। প্রসঙ্গত, রথযাত্রা শুরুর আগে রথের নির্মাণের সময় দেখা যায়, জগন্নাথের রথ নন্দিঘোষের চাকাতেও ত্রুটি রয়েছে। সেখানও লোহার পাত লাগানো হয়েছিল।
গত শনিবার পুরীর গুণ্ডিচা মন্দিরে দুষ্কৃতী হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ভাঙচুর করা হয় প্রায় ২০টি উনুনে। পুরীর গুণ্ডিচা মন্দিরে দুষ্কৃতী হামলা ঘটনার খবর পেয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। মন্দিরের সেবাইতদের অনুমান, শুক্রবার গভীর রাতেই কেউ বা কারা গুণ্ডিচা মন্দিরে ঢুকে এই ‘অপকর্ম’ করেছিল। এর আগে গত এপ্রিল মাসেও পুরীর মন্দিরে এভাবে চুলা ভাঙচুর করেছিল দুষ্কৃতীরা। ভাঙা হয় পঞ্চাশটিরও বেশি উনুন। এমনকী মন্দিরের গায়েও আঘাত করা হয়েছিল। সেই ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। রথযাত্রার সময় এই ধরনের ঘটনায় উদ্বিগ্ন ভক্তরা। অনেকেই এমন ঘটনাকে কোনও ‘অশুভ ইঙ্গিত’ বলে মনে করছেন।
উল্লেখ্য, গত ২ বছর করোনার প্রকোপে পুরীর রথযাত্রায় সাধারণ ভক্তরা অংশ নিতে পারেননি। কিন্তু সংক্রমণ কম থাকায় অনুমতি দেওয়া হয়। সেইমতো শুক্রবার বিপুল লোকসমাগম হয় পুরীতে। ওইদিন প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ অংশ নিয়েছিলেন রথযাত্রায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.