সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এখনই ভোট হলে অক্ষত থাকবে দেশের একমাত্র বাম-দুর্গ। কেরলে (Kerala) বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরবে সিপিএম নেতৃত্বাধীন বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট। ভোটের একবছর আগে বামপন্থীদের বড়সড় স্বস্তি দিল একটি বেসরকারি সংস্থার জনমত সমীক্ষা। যাতে বলা হচ্ছে, এখন ভোট হলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইউডিএফকে (UDF) সহজেই হারিয়ে দেবে পিনারাই বিজয়নের নেতৃত্বাধীন এলডিএফ।
এশিয়ানেট নিউজ-সি ফোরের যৌথ জনমত সমীক্ষা বলছে, এই মুহূর্তে ভোট হলে ১৪০ আসন বিশিষ্ট কেরল বিধানসভায় (Kerala Legislative Assembly) বাম জোট এলডিএফ (LDF) পেতে পারে ৭৭-৮৩টি আসন। দ্বিতীয় স্থানে থাকবে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ। তাঁদের দখলে যেতে পারে ৫৪-৬০টি আসন। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ’র (NDA) দখলে যেতে পারে মাত্র ৩-৭টি আসন। আগামী মে মাসের নির্বাচনে যদি এই ফলাফল হয়, তাহলে তা নিঃসন্দেহে সিপিএমের জন্য বড়সড় স্বস্তির খবর হবে। কারণ, কেরলে প্রতি পাঁচবছর অন্তর সরকার বদলের একটা ট্রেন্ড দেখা যায়। তাছাড়া সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বামেরা একপ্রকার ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গিয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই এই সমীক্ষা বাম শিবিরকে অক্সিজেন জোগাবে। আসলে করোনা মোকাবিলায় কেরল সরকারের কাজ বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। এখন নির্বাচন হলে সেই জনপ্রিয়তারই সুফল পাবে বামেরা।
ভোট আসতে এখনও প্রায় বছরখানেক। সব ঠিক থাকলে আগামী বছর মে মাসে নির্বাচনে যাবে কেরল। কিন্তু এখন থেকেই কেরল বাঁচানোর লড়াইয়ে মরিয়া হয়ে নেমে পড়েছে বামফ্রন্ট। কারণ, ২০১৮ সালে ত্রিপুরা হাতছাড়া হওয়ার পর দেশে বামেদের দুর্গ বলতে একমাত্র কেরলই। বাংলায় দলের সাংগঠনের অবস্থা একেবারেই আশাপ্রদ নয়। ত্রিপুরাতেও দু’বছর আগের হারের ধাক্কা পুরোপুরি সামলে উঠতে পারেনি বামেরা। এই পরিস্থিতিতে কেরলও হাতছাড়া হলে জাতীয় রাজনীতিতে একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যেতে পারে বামফ্রন্ট। কিন্তু সমীক্ষা বলছে আপাতত সেই সম্ভাবনা নেই। এখন ভোট হলে অতি সহজেই দক্ষিণের রাজ্যটি পুনর্দখল করতে চলেছে বামেরা। সবচেয়ে বড় ব্যপার, বাম এবং কংগ্রেসের এই শক্ত ঘাঁটিতে এখনও সেভাবে দাঁত ফোটাতে পারেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.