Advertisement
Advertisement
CPM

পার্টি কংগ্রেস সূচনার দিনও বিভ্রান্তি রণকৌশলে, কেন প্রতিনিধি পাঠাল না কংগ্রেস? ধোঁয়াশায় বামেরা

২৩ তম পার্টি কংগ্রেসে থাকার কথা ছিল শশী থারুরের!

CPM divided over future strategy, party congress highlights fissures | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:April 6, 2022 12:56 pm
  • Updated:April 6, 2022 1:06 pm  

বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: পার্টি কংগ্রেস শুরুর মুখে বেঙ্গল লাইন নিয়ে জট সামনে এসেছিল। বুধবার পার্টি কংগ্রেসের শুরুর দিনে জাতীয় স্তরে দলের রণকৌশল নিয়েও অস্বস্তি বাড়ল। আসলে এই দুইয়ের, বাংলা ও জাতীয় ক্ষেত্রের কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে। বেঙ্গল লাইনের প্রধান বিভ্রান্তি ঘুরে দাঁড়ানোর রণকৌশল নিয়ে। মূল শত্রু কে? বিজেপি (BJP) না তৃণমূল (TMC)? বাংলার এই শত্রু বাছাইয়ের বিভ্রান্তির সঙ্গে সম্পর্কিত দলের সর্বভারতীয় ভাবমূর্তি। যেহেতু জাতীয় স্তরে রণকৌশল নির্ধারণের প্রশ্নে হোঁচট খাচ্ছে পার্টির এই বেঙ্গল লাইনই। বুধবার কেরলের (Kerala) কুন্নুরে শুরু হল সিপিএমের ২৩ তম পার্টি কংগ্রেস। সেখানে ঘুরেফিরে এই প্রশ্নই ভাসছে বাতাসে। যেমন, আমন্ত্রণ সত্বেও কেন কংগ্রেস (Congress) তাদের প্রতিনিধি পাঠাল না? 

এদিন পার্টি কংগ্রেসের সূচনা করেন পলিটব্যুরোর সদস্য বর্ষিয়ান নেতা রামচন্দ্রন পিল্লাই (S Ramachandran Pillai)। তিনি নিজের বক্তব্যে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন। যেমন, বিজেপি বিরোধিতায় কংগ্রেসের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিজেপি বিরোধিতায় কংগ্রেসকে আঞ্চলিক দলগুলিকে সংঘটিত করে বিজেপি বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দিতে হবে। কারণ বিজেপি যেভাবে সরকার চালাচ্ছে, তাতে আগামী দিনে কর্পোরেটদের হাতে চলে যাবে দেশ। রামচন্দ্রন বলেন, “পার্টি কংগ্রেসে প্রতিনিধি পাঠানোর জন্য কংগ্রেস হাইকমান্ডের কাছে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক কংগ্রেস কোন প্রতিনিধি পাঠায়নি। কেন পাঠাইনি তারাই বলতে পারবে। কিন্তু সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেসকেই নেতৃত্ব দিতে হবে।” পাশে দাঁড়িয়ে রামচন্দ্রনের এই বক্তব্যকে কার্যত সমর্থন করেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মোদি জমানায় কেন্দ্রের ঋণে শীর্ষে বিজেপি শাসিত রাজ্য, প্রথম পাঁচে নেই বাংলা]

প্রসঙ্গত, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপিকে পরাজিত করার জন্য কংগ্রেসের সঙ্গে হাত ধরাধরি করে পথ চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কমরেডকুলের শীর্ষনেতারা। তাই তাদের পার্টি কংগ্রেসে প্রতিনিধি পাঠাতে স্বয়ং কংগ্রেস সভানেত্রীর কাছে আমন্ত্রণ পাঠিয়েছিলেন সীতারাম ইয়েচুরি, প্রকাশ কারাতরা। যদিও ইয়েচুরিদের কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী সাফ জানান, প্রতিনিধি পাঠানো সম্ভব নয়।

[আরও পড়ুন: টেস্টিং বাড়তেই ঊর্ধ্বমুখী দেশের করোনা সংক্রমণের গ্রাফ, স্বস্তি দিয়ে কমছে অ্যাকটিভ কেস]

সূত্রের খবর, আমন্ত্রণ পেয়ে প্রথমে কেরলের সাংসদ শশী থারুরকে পার্টি কংগ্রেসের যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী। কিন্তু প্রবল আপত্তি ওঠে কেরল কংগ্রেসের তরফে। কেরল কংগ্রেসের এই আপত্তি সোনিয়ার কানে যেতেই তিনি শশীকে পার্টি কংগ্রেস যেতে মানা করেন। বাংলার ও জাতীয় স্তরের রণকৌশলগত এই বিভ্রান্তির জট বামেরা কীভাবে কাটিয়ে ওঠে, আদৌ তা পেরে ওঠে কিনা, সেটাই এখন দেখার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement