সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার বিজেপির (BJP) ‘গুজরাট মডেল’ থেকে অনুপ্রেরণা চাইছে বামশাসিত কেরলও! গুজরাটে কীভাবে সমস্ত সরকারি প্রকল্প কার্যকর হচ্ছে, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা কীভাবে সাধারণ নাগরিকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে, এসব খুঁটিনাটি জানতে গুজরাটে প্রতিনিধিদল পাঠালেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন (Pinarayi Vijayan)। তাও আবার খোদ মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে গুজরাটে গিয়েছে কেরল সরকারের দুই সদস্যের ওই প্রতিনিধি দল।
গুজরাট সরকারের দাবি, সব সরকারি প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য তারা আলাদা করে একটি ‘ড্যাশবোর্ড’ তৈরি করেছে। যার মাধ্যমে সবটা নিখুঁতভাবে পরিচালনা করা সম্ভব। কীভাবে সেটা কাজ করে, সেসব সম্পর্কেই বিস্তারিত খোঁজখবর করতে চাইছে বামশাসিত কেরল (Kerala)। মতাদর্শগতভাবে তাঁরা ভিন্ন মেরুতে অবস্থান করলে কী হবে, রাজ্য এবং রাজ্যের মানুষের উন্নয়নের প্রশ্নে একে অপরের পরিপূরক হওয়াই যায়। গুজরাটে প্রতিনিধি পাঠানোর পিছনে এই যুক্তিই দেখাচ্ছেন কেরলের বাম নেতারা। সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে বাম নেতাদের সাফাই, মতাদর্শ কখনও সরকারের উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না।
কিন্তু কেরল সরকারের এই সিদ্ধান্ত তীব্র সমালোচিত বিরোধী শিবিরে। কেরল কংগ্রেসের (Congress) অভিযোগ, সিপিএম এবং বিজেপির মধ্যে যে আঁতাঁত তৈরি হয়েছে সেটা বিজয়ন সরকারের এই সিদ্ধান্তে প্রমাণিত। কেরলের বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কে সুধাকরণ বলছেন, “সরকার কি রাজ্যে সেই ‘গুজরাট মডেল’ চালু করতে চাইছে, যে গুজরাট (Gujarat) উগ্র হিন্দুত্বের আঁতুড়ঘর, যে গুজরাট সংখ্যালঘুদের রক্ত চুষেছে। সরকারি স্তরে বিজেপি এবং সিপিএমের মধ্যে যে আঁতাঁত তৈরি হয়েছে, সেটাও সরকারের এই সিদ্ধান্তে স্পষ্ট।” সুধাকরণের (K Sudhakaran) অভিযোগ, রাজ্যস্তরে শুধু নয়, জাতীয় স্তরেও সিপিএম এবং বিজেপির মধ্যে আঁতাঁত তৈরি হয়েছে, এটা তারই প্রমাণ।
বিজেপি অবশ্য বাম সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। কেরল বিজেপির সভাপতি কে সুরেন্দ্রন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বাম সরকারের এবার বোঝা উচিত কেরল মডেল ব্যর্থ হয়েছে। কেরলে এবার উন্নয়নের জন্য গুজরাট মডেল চালু হওয়া উচিত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.