Advertisement
Advertisement

Breaking News

ফের গো-রক্ষকদের তাণ্ডব, যুবককে মারধর করে পোড়ানো হল বাড়ি

আক্রান্তকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে পুলিশও।

Cow vigilantes thrash man, set house ablaze in Jharkhand
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 28, 2017 1:04 pm
  • Updated:June 28, 2017 1:04 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  কেন্দ্রে ক্ষমতার আসার পর বেআইনি গরু হত্যা রুখতে উঠে পড়ে লেগেছে মোদি সরকার। পশুহাট বা পশু বাজারে মাংস খাওয়ার জন্য বা ধর্মীয় কারণে বলির জন্য গবাদি পশু বিক্রিতে জারি হয়েছে নিধেষাজ্ঞা। আর এই নিষেধাজ্ঞা জারির পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিশেষ করে বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে গো-রক্ষকদের তাণ্ডব উদ্বেগজনকভাবে বেড়েই চলেছে। গত শনিবার হরিয়ানায় চলন্ত ট্রেনে এক যুবককে কুপিয়ে খুন করা হয়। মৃতের পরিবার দাবি করেছিল, গো-মাংস নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে ওই যুবককে কুপিয়ে খুন করা হয়। আর এবার একই ঘটনা পুনরাবৃত্তি ঘটল ঝাড়খণ্ডে। বাড়িতে মরা গরু পাওয়া গিয়েছে। এই অভিযোগ তুলে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করা হল। জ্বালিয়ে দেওয়া হল বাড়ি। আক্রান্তকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে পুলিশও।

[স্কুটার সমেত মহিলাকে টেনে নিয়ে গেল গাড়ি, ভাইরাল ভিডিও]

Advertisement

ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের রাঁচি থেকে প্রায় ২০০ কিমি দুরে এক প্রত্যন্ত গ্রামে। পুলিশ সময়মতো চলে আসায়, কোনওমতে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন উসমান আনসারি নামে ওই যুবক। গুরুতর আহত অবস্থায় ধানবাদের একটি হাসপাতালে ভর্তি তিনি। স্থানীয় এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, উসমান আনসারি ও তাঁর পরিবারের লোককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ে পুলিশকে বাধা দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু হয় পাথরবৃষ্টি। উন্মত্ত জনতা ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি চালায়। পূলিশের গুলিতে দু’জন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হয়েছেন। তাঁদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে, স্থানীয় বাসিন্দাদের পাথরবৃষ্টির মধ্যে পড়ে আহত হয়েছেন ৫০ জন পুলিশকর্মীও। ওই গ্রামে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

[আধার-প্যান যোগ বাধ্যতামূলক, হাতে সময় মাত্র ২ দিন]

শনিবার দিল্লি থেকে ইদের বাজার সেরে, ট্রেনে করে হরিয়ানার বল্লভগড়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন চার যুবক। চলন্ত ট্রেনের তাঁদের সঙ্গে বচসা বাধে একদল যুবকের। বল্লভগড় স্টেশনে চলন্ত ট্রেনে একজনকে কুপিয়ে খুন করা হয়। ছুরির আঘাতে গুরুতর জখম হন আরও একজন। মৃতের পরিবারের দাবি, গো-মাংস নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলে ওই চার যুবকের ওপর হামলা চালানো হয়। যদিও গো-মাংস নিয়ে বিবাদের জেরে এই ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করে পুলিশ। এরপরই খোদ কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ বলেছিলেন, কেউ যদি হিংসার আশ্রয় নেন। তাহলে আইন আইনের পথে চলবে। তবে আইনমন্ত্রী যাই বলুন না কেন, বাস্তব পরিস্থিতিতে যে কোনও বদল হয়নি, ঝাড়খণ্ডের এই ঘটনাতে তা ফের স্পষ্ট হয়ে গেল।      

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement