সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার করোনায় (Coronavirus) আক্রান্ত হয়ে যাঁরা বাড়িতে মারা যাবেন, তাঁদের সৎকারের জন্য দেহ শববাহী গাড়িতে তুলতে হবে পরিবার পরিজনের লোকেদেরই। তবে সে ক্ষেত্রে প্রশাসনের তরফে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হবে। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) পুনে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে (পিএমসি) এই নতুন নিয়ম করা হয়েছে।
পিএমসি-র তরফে জানানো হয়েছে, যদি কেউ বাড়িতেই করোনায় মারা যান তবে তাঁর পরিবারকে একটি বডিব্যাগ এবং চারটি করে পিপিই কিট (PPE kit) দেওয়া হবে। সেই পিপিই কিট পরে ওই মৃতদেহ বডিব্যাগবন্দি করে শববাহী গাড়িতে তুলে দিতে হবে। সেখানে পুরসভা বা অন্য কেউ হাত লাগাতে পারবেন না। মৃতদেহ বা তাঁর পরিবারের লোকেদের থেকে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকাতেই এই সিদ্ধান্ত।
গত ২৪ ঘণ্টায় পুনেতে এক দিনে সাম্প্রতিক কালে সব থেকে বেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ হাজার ৫৫৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের। মহারাষ্ট্রে মোট আক্রান্তের মধ্যে শুধু পুনের ‘অবদান’ ২১ শতাংশ। আর দেশে মোট করোনা আক্রান্তের ১১.৮২ শতাংশ মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা।
দ্বিতীয় ঢেউয়ে মহারাষ্ট্রের অবস্থা যথেষ্ট খারাপ। মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ হাজার ৫৪৪ জন। যার মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যায় পুনের পরেই রয়েছে মুম্বই। যেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৩৯৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। থানে শহরে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৫৩০ জন এবং নাগপুরে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১২৩ জন। যে সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। ফলে সংক্রমণ আটকাতে একের পর এক কড়া পদক্ষেপ করতে হচ্ছে মহারাষ্ট্র সরকারকে।
গোটা মহারাষ্ট্র ফের লকডাউনের দিকে যেতে পারে বলে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। এমনকী ইতিমধ্য়েই কয়েকটি জেলা এবং শহরে আংশিক লকডাউন চলছে, রাতে সব কিছু বন্ধ রাখা হচ্ছে সেখানে। এছাড়াও মাস্ক না পরলে জরিমানাও করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.