সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খারাপ সময় দেখা এখনও বাকি রয়েছে। আগেই সাবধান করেছিল বিশেষজ্ঞরা। বলেছিলেন, দেশে করোনা সংক্রমণ এখনও সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছয়নি। নতুন সমীক্ষা বলছে, বছরের শেষে অর্থাত নভেম্বর মাসে করোনার সংক্রমণ সর্বাধিক হবে। সেইসময় দেশে আইসিইউয়ের শয্যা সংখ্যায়, ভেন্টিলেটরের টান দেখা দিতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে ওই সমীক্ষায়। কোনও বিদেশি সংস্থা নয়, এই সমীক্ষা করা হয়েছে আইসিএমআরের (ICMR) তরফেই।
চিনের ইউহান থেকে ছড়ানো মহামারী রুখতে দেশে আট সপ্তাহের লকডাউন চলেছে। করোনার চোখ রাঙানি সত্বেও জুনের গোড়াতে থেকে ছন্দে ফেরার লড়ই শুরু করেছে দেশ। ইতিমধ্যে আনলক ওয়ান পর্ব পেরিয়ে গিয়েছে এক সপ্তাহ। তবে প্রতিদিন করোনা সংক্রমণের নতুন নতুন রেকর্ডে আনলক টু নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে। ফের না লকডাউনের পথে হাঁটতে হয়, এই চিন্তা থাকছেই। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ২০ হাজার ৯২২ জন। মৃত্যু হয়েছে ৯,১৯৫ জনের। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছে, এ তো সবে হিমশৈলের চূড়ামাত্র! পিকচার আভি বাকি হ্যায়।
ICMR-এরের বিশেষরজ্ঞদের টিম Operations Research Group এই সমীক্ষাটি চালিয়েছে। তাতে জানা গিয়েছে, নভেম্বরের মাঝামাঝি সংক্রমণের হার সর্বাধিক হবে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হতে পারে সরকারকে। কারণ প্রথম পর্যায়ে লকডাউন করে সংক্রমণের গতি বেশকিছুটা কমিয়ে দিয়েছে সরকার। সেই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে জনস্বাস্থ্যর পরিকাঠামো গড়ে তোলা গিয়েছে। সেই পরিকাঠামো নভেম্বরের গোড়া পর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম হবে। কিন্তু তারপর থেকেই কঠিন হবে পরিস্থিতি। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, আইসিইউতে বেড, আইসোলেশনে বেড ও ভেন্টিলেটর অপ্রতুল হতে পারে। প্রসঙ্গত, এখন দিল্লি-মু্ম্বইতে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতিত সামাল দিতে নাজেহাল হচ্ছে হাসপাতালগুলি। কম পড়ছে বেড সংখ্যা। এরপর পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কী হবে, তা ভেবেই শিউড়ে উঠছে আমজনতা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.