প্রতীকী ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা সংক্রমণের তালিকায় থাকা দেশের বাকি রাজ্যগুলি মধ্যে হিটলিস্টে রয়েছে মধ্যপ্রদেশও। তবে এই রাজ্যেরই রাজধানী ভোপালের (Bhopal) একটি হাসপাতালের বাইরের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ল চাঞ্চল্যকর ছবি। ফুটপাতে করোনা রোগীর দেহ রেখেই চলে যাচ্ছেন পিপিই পরা দুই স্বাস্থ্যকর্মী। আর সেই ভিডিও ঘিরেই শুরু হয় তোলপাড়।
চরম অমানবিকতার ছবি ধরা পড়ল মধ্যপ্রদেশে। করোনা রোগীর দেহ হাসাপাতেলর বাইরের ফুটপাতে রেখেই চলে যাচ্ছেন পিপিই পড়া দুই স্বাস্থ্যকর্মী। সেই ছবি দেখেই ঘটনার তদন্তে নামে জেলা প্রশাসন। জানা যায়, গত ২৩ জুন মধ্যপ্রদেশের বিদ্যুৎ দপ্তরের এক কর্মী কিডনির অসুখ নিয়ে ভোপালের পিপলস হাসপাতালে (People’s hospital) ভরতি হন। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। রবিবার সেই ব্যক্তির করোনা পরীক্ষার জন্য লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সোমবার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। কিন্তু পিপলস হাসপাতাল COVID হাসপাতাল না হওয়ায় সেখানে ব্যক্তির চিকিৎসা করা সম্ভব হয় না। তাই চিকিৎসার জন্য পিপলস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিরায়ু হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তবে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই ঘটে বিপত্তি। অ্যাম্বুলেন্সেই মারা যান সেই ব্যক্তি। এরপরই সেই অ্যাম্বুলেন্সটিকে পিপলস হাসপাতালের সামনে ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু ফিরিয়ে আনা হল কেন? তা জানতে চাইলেও কোনও উত্তর দেননি অ্যাম্বুলেন্সে থাকা দুই স্বাস্থ্যকর্মী।
পিপলস হাসপাতালের এক অধিকর্তা জানিয়েছেন, আমরা অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেওয়ার কিছুক্ষণ পর খবর পাই ওই রোগীকে আবার ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্সটি ছিল চিরায়ু হাসপাতালের। অ্যাম্বুলেন্সের দুই কর্মী ফেরত আসার পরই হাসপাতাল থেকে স্ট্রেচার চান। কিন্তু তখন হাসপাতালে স্যানিটাইজেশনের কাজ হচ্ছিল। আইসিইউ সিল করে দেওয়া হয়েছিল। তাই কেউ স্ট্রেচার এগিয়ে দেয়নি। কিন্তু ওরা অপেক্ষা না করেই রাস্তার ধারের ফুটপাতে রোগীর দেহ রেখে দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে পালিয়ে যায়।
इसे #कोरोना का डर कहें या असंवेदनशीलता, भोपाल में #कोरोनावायरस से जान गंवाने वाले शख्स का शव एंबुलेंस ड्राइवर ने सड़क पर छोड़ दिया. #COVIDー19 #COVID19 #coronavirus @India_NHRC @ndtv @ndtvindia @drnarottammisra @CollectorBhopal ने अस्पताल से पूछे सवाल @INCMP pic.twitter.com/BKF7UwuNMW
— Anurag Dwary (@Anurag_Dwary) July 7, 2020
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে চিরায়ু হাসপাতাল ম্যানেজমেন্টের পালটা দাবি, পিপলস হাসপাতাল থেকেই তাদের জানিয়েছিল যে, রোগীর কিডনির চিকিৎসার জন্য সেখানে পাঠানো হচ্ছে এবং তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ছিল।
তবে গোটা ঘটনাজ জানতে পেরে ক্ষোভপ্রকাশ করে জেলা প্রশাসন। সিসিটিভির ভিডিও দেখে দুই হাসপাতালের থেকেই ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠান জেলাশাসক। যথাযথ উত্তর না দিতে পারলে এই দুই হাসপাতালের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.