ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার করোনা থাবা বসাল পালঘরের সাধু হত্যাকাণ্ডের এক অভিযুক্তের উপর। ওয়াডা থানার পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীনই সে করোনায় আক্রান্ত হয় বলে জানা গিয়েছে। যার জেরে ইতিমধ্যেই ৪৩ জন পুলিশ কর্মীকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
৫৫ বছরের অভিযুক্ত পালঘরের দাহনু এলাকার বাসিন্দা। কিডনি চোর অপবাদ দিয়ে দুই সাধুকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গত ১৭ এপ্রিল গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাকে। তার সঙ্গে আরও ১১৪ জনকে এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২০ জন বন্দির সঙ্গে একটি সেলে রাখা হয়েছিল ওই অভিযুক্তকে। তাকে দাহনু আদালতে পেশ করা হলে ১৪ মে পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর ২৮ এপ্রিল তার লালারস পরীক্ষা হয়। রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টের পর শনিবার জানা যায় তার শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণ ভাইরাস। এরপরই পালঘরের গ্রামীন হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাকে। প্রথমে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়। তারপর জেজে হাসপাতালের বন্দি ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয় তাকে। পুলিশের তরফে জানানো হয়, অভিযুক্তের শরীরে করোনার কোনও উপসর্গ ছিল না। তাই প্রথমটায় কিছু বোঝা যায়নি। টেস্ট করাতেই বিষয়টা সামনে আসে। এরপরই আক্রান্তের সঙ্গে থাকা ২০ অভিযুক্ত ও ২৩ পুলিশ কর্মীকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
গত ১৬ এপ্রিল কিডনি চোর অপবাদ দিয়ে দুই সাধুকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ছাড় পাননি তাঁদের গাড়ির চালকও। ঘটনাটির তদন্তে নেমে আগেই ১১০ জন মানুষকে গ্রেপ্তার করেছিল মহারাষ্ট্র পুলিশ। বৃহস্পতিবার ফের আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিয়ে টানাপোড়েনের মাঝেই নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে উদ্ধব ঠাকরের পুলিশ অবহেলা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকী এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী শশাঙ্ক শেখর ঝা। তাঁর অভিযোগ, মহারাষ্ট্র পুলিশও এই ঘটনায় জড়িত ছিল। তাই এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তের ভার তাদের হাত থেকে নিয়ে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হোক। নাহলে আদালতের তত্ত্বাবধানে তদন্ত প্রক্রিয়া চালানো হোক। সেই প্রেক্ষিতেই ঘটনার তদন্তের অগ্রগতি জানতে চেয়ে মহারাষ্ট্র পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.