সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (Coronavirus) হলেই যে নির্ঘাত মৃত্যু হবে, তা বর্তমানে আর বলা যায় না। কারণ, অনেক বৃদ্ধ-বৃদ্ধাই বর্তমানে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরছেন। সেই তালিকাই যেন আরও দীর্ঘ হল। কারণ, সেখানে নাম জুড়ল আরও দু’জনের। একজন কর্ণাটকের হাল্লামা এবং অপরজন তিরুপতির আরও এক শতায়ু বৃদ্ধা। তবে কোভিডজয়ী কর্ণাটকের ওই ঠাকুমার সাহস দেখে অবাক গোটা দেশ।
কর্ণাটকের বেল্লারির হুভিনা হাদাগালি টাউনের বাসিন্দা হাল্লাম্মার ছেলে ৩ জুলাই করোনা আক্রান্ত হন। তারপর থেকেই বৃদ্ধার শরীরও অসুস্থতার কথা জানান দিচ্ছিল। ১৬ জুলাই জানা যায় ওই বৃদ্ধাও করোনা আক্রান্ত। বয়স্ক শরীরে করোনার থাবা। তাই পরিজনেরা আর দেরি করেননি। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। মাত্র ৬ দিনেই সুস্থ হাল্লাম্মা। তিনি বলেন, “সর্দি-জ্বর হলে যেমন হয়, আমারও ঠিক তেমনই হয়েছিল। কাশি হচ্ছিল। গা গরম হয়েছিল। তারপরেই আমাকে হাসপাতালে নিয়ে গেল”। কিন্তু কেমন ছিল হাসপাতালের অভিজ্ঞতা? হাল্লাম্মার অবশ্য চিকিৎসকদের বেশ ভালই লেগেছে। তিনি বলেন, “সঠিক সময় চিকিৎসকরা আমাকে খাবার দিত। আমি রোজ একটা করে আপেল খেতাম। চিকিৎসকরা ওষুধ আর ইঞ্জেকশন দেন। তাতেই আমি ৬ দিনে সুস্থ।”
হাল্লাম্মার মনের জোর অবাক করেছে গোটা দেশকে। ব্যতিক্রম নন চিকিৎসকরাও। অনেকেই করোনা হয়েছে শুনেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছেন। তার ফলে পুরোপুরি সুস্থ হতেও বেশ কিছুটা বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। কিন্তু হাল্লাম্মার মানসিক জোরই হয়তো তাঁকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করেছে।
এদিকে, তিরুপতির ১০১ বছর বয়সি মাঙ্গাম্মাও সুস্থ হয়ে সদ্যই বাড়ি ফিরেছেন। শ্রী ভেঙ্কটেশ্বরওয়া হাসপাতালে ভরতি ছিলেন তিনি। সুস্থ হয়ে শনিবারই বাড়ি ফেরেন তিনি। শতায়ু বৃদ্ধা সুস্থতা উদ্বেগের দিনে অন্যান্য করোনা রোগীদের মনের জোর বাড়াবে বলেই আশা চিকিৎসকদের। ওই বৃদ্ধার পরিজনেরাও চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.