Advertisement
Advertisement

Breaking News

Delhi

হাসপাতালেই বদলে গেল করোনায় মৃতের দেহ! মুসলিমের সৎকার শ্মশানে আর কবর দেওয়া হল হিন্দুকে

দিল্লি এইমসের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ।

COVID-19 dead bodies handed over to wrong families by Delhi AIIMS
Published by: Paramita Paul
  • Posted:July 8, 2020 10:44 pm
  • Updated:July 8, 2020 10:48 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একই হাসপাতালে করোনায় মৃত্যু হয়েছিল দুজনের। নিয়ম মেনে প্লাস্টিক মুড়িয়ে দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। শোকের আবহে দেহ শনাক্তকরণ কেউ করেননি। কিন্তু সমাধিস্থ করার আগে মুখ দেখতে গিয়েই মাথায় হাত। অন্য কারও প্রিয়জনের দেহ তাঁদের হাতে তুলে দিয়েছে। তাও আবার ভিন ধর্মাবলম্বী মহিলার দেহ!  দেহ অদলবদলের এমনই ঘটনা ঘটে গিয়েছে দিল্লিতে। কাঠগড়ায় এইমস ট্রমা কেয়ার সেন্টার।

গত ৭ জুনের ঘটনা। জানা গিয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যু হয় দুই মহিলার। একজন হিন্দু ও অন্যজন মুসলিম। ঘটনা প্রসঙ্গে মুসলিম পরিবার তরফে জানানো হয়েছে, সকাল ৮টা নাগাদ মর্গ থেকে মৃতদেহ প্লাস্টিকে জড়িয়ে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মুখ দেখা যায়নি। সাতজন গিয়েছিলেন দেহ নিতে। সেখানে সব রীতি রেওয়াজের পরে মৃত মহিলার তিন সন্তান তাদের মায়ের মুখ শেষবারের মতো দেখতে চায়। তখনই বিষয়টি খোলসা হয়। দুই পরিবারেরই বুঝতে পারেন, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। মুসলিম পরিবারের মেয়েকে শ্মশানে দাহ করা হয়েছে। এদিকে হিন্দু বাড়ির মেয়ের দেহ চলে এসেছে কবরে। 

Advertisement

[আরও পড়ুন : আগামী বছর ভারতে প্রতিদিন করোনা আক্রান্ত হবেন ২.৮৭ লক্ষ মানুষ! মার্কিন সমীক্ষায় চাঞ্চল্য]

মৃতার ভাইয়ের অভিযোগ, ওই কবরস্থানে দায়িত্বে থাকা এক আধিকারিক মৃতদেহের মুখ দেখানোর জন্য ঘুষ চাইছিলেন। সেই টাকা দেওয়ার পর মুখ দেখে চমকে ওঠেন সকলে। এ তো তাঁদের প্রিয়জন নয়, এতো অন্য কেউ! তাহলে তাঁদের প্রিয়জনের দেহ কোথায় দাহ করা হচ্ছে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান পরিবারের সদস্যরা।
মৃতার ভাই জানিয়েছেন, হাসপাতালে পৌঁছে খোঁজ খবর নিতে শুরু করার আগেই পাঞ্জাবি বাগ শ্মশানে দেহ দাহ করা হয়ে যায়। ওই হিন্দু পরিবারও জানত না যে দেহ বদলে গিয়েছে। এইমস ট্রমা কেয়ার সেন্টারের সাফাই, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। মর্গের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের বরখাস্ত করা হয়েছে।

[আরও পড়ুন : লকডাউনে বন্ধ মিড-ডে মিল, পেটের দায়ে ভিক্ষা করছে বিহারের স্কুলপড়ুয়ারা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement