সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা সংক্রমণে বিধ্বস্ত গোটা দেশ। প্রত্যেকদিন রেকর্ড গড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এমনকী দেশের অর্থনীতির অবস্থাও খারাপ। এই পরিস্থিতিতে মারণ এই ভাইরাসকে ‘অ্যাক্ট অব গড’ বা ‘ঈশ্বরের কীর্তি’ বলে ব্যাখ্যা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sithraman)। পাশাপাশি করোনার কারণে দেশের অর্থনীতির করুণ অবস্থার কথাও স্বীকার করে নিলেন। বৃহস্পতিবার ৪১তম জিএসটি কাউন্সিলের (GST Council) বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা শোনা গেল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর গলায়। তিনি আরও জানান, এবার জিএসটি আদায়ও অনেকটাই কমেছে। হিসেব পেশ করে জানালেন, করোনার ধাক্কায় চলতি অর্থবর্ষে জিএসটি ঘাটতি ২.৩৫ লক্ষ কোটি টাকায় দাঁড়াবে। আর সেই ঘাটতি পুষিয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্যগুলিকে দু’টি বিকল্প প্রস্তাব দিল GST কাউন্সিল।
এদিন জিএসটি কাউন্সিলে প্রায় পাঁচ ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠক হয়। তারপর সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Finance Minister) জানান, হিসেব অনুযায়ী চলতি অর্থবর্ষে জিএসটি বাবদ রাজ্যগুলির ক্ষতিপূরণের অঙ্ক দাঁড়াবে ৩ লক্ষ কোটি টাকা। তার মধ্যে সেসের সৌজন্যে ৬৫ হাজার কোটি টাকা আদায় করা যেতে পারে।
এরপর কেন্দ্রীয় রাজস্ব সচিব অজয় ভূষণ জানান, করোনা ভাইরাস (Corona Virus) মহামারীর জন্য জিএসটি আদায় ব্যাপকভাবে ধাক্কা খেয়েছে। সেই ঘাটতি পুষিয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্যগুলিকে দুটি বিকল্প দেওয়া হয়েছে জিএসটি কাউন্সিলের পক্ষ থেকে। প্রথম বিকল্প হিসেবে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার (RBI) সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে রাজ্যগুলিকে একটি বিশেষ সময়সীমা দেওয়া হবে। তার মধ্যে নির্দিষ্ট সুদের হারে ৯৭,০০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার সুযোগ মিলবে। আর দ্বিতীয় বিকল্প হিসেবে বিশেষ ‘উইন্ডো’–র আওতায় পুরো ২.৩৫ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিতে পারবে রাজ্যগুলি। আর এই প্রস্তাব বিবেচনার জন্য রাজ্যগুলিকে সাতদিন সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.