Advertisement
Advertisement

Breaking News

নাবালিকার আঁকা ছবি দেখে ধর্ষক কাকাকে সাজা শোনাল আদালত

৫ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা৷

Court found man guilty of rape following Minor victim's scatch
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 14, 2017 6:38 am
  • Updated:June 14, 2017 6:57 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মায়ের মৃত্যুর পর তাকে একলা ফেলে চলে গিয়েছিল বাবা৷ দিল্লিতে কাকা-কাকিমার কাছে থাকত আট বছরের ছোট্ট মেয়েটা৷ সেখানে দিনের পর দিন তার ওপর যৌন নির্যাতন চালাত কাকা৷ কিন্তু, আদালতে দাঁড়িয়ে সেই ঘটনার কথা গুছিয়ে বলতে উঠতে পারেনি ছোট্ট মেয়েটা৷ শুনানি চলাকালীন আদালত কক্ষে বসে ছবি আঁকত সে৷ সেই ছবিতে ফুটে উঠেছিল মনে জমে থাকা না-বলা কথাগুলি৷ শেষপর্যন্ত ওই ছবি দেখেই ‘ধর্ষক’ কাকাকে সাজা শোনালেন বিচারক৷

[পরপর ৫টি জঙ্গি হামলায় কাঁপল কাশ্মীর, জখম ১২ জওয়ান]

Advertisement

বাবা-মায়ের সঙ্গে কলকাতায় থাকত মেয়েটি৷ বছর দু’য়েক আগে মা মারা যান৷ মদ্যপ বাবা মেয়ের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে৷ আট বছরের মেয়েটিকে দিল্লিতে নিয়ে আসেন তার কাকিমা৷ যে বয়সে হেসে-খেলে বেড়ানোর কথা সেই বয়সে পরের বাড়িতে কাজ করতে হত মেয়েটিকে৷ উঠতে-বসতে শুনতে হত কাকিমার গঞ্জনা৷ এরসঙ্গেই যোগ হয়েছিল কাকার যৌন নির্যাতন৷ শেষপর্যন্ত একদিন কাকার বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সে৷ ২০১৪ সালে একটি বাস থেকে মেয়েটি উদ্ধার করে  দিল্লির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা৷ ডাক্তারি পরীক্ষায় যৌন নিগ্রহের প্রমাণ মেলে৷ কিন্তু, মেয়েটি মানসিকভাবে এতটাই বিপর্যস্ত ছিল যে কাউন্সেলিং-র মাধ্যমে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে প্রায় অনেকটা সময় চলে যায়৷ শেষপর্যন্ত  নিজের দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা জানায় সে৷  মে্য়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছরের জুনে অভিযুক্ত কাকা আখতার আহমেদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷  কিন্তু আদালতে অভিযুক্তের আইনজীবী দাবি করেন,  মেয়েটি শেখানো কথা বলছে৷ তার বয়ান বিশ্বাসযোগ্য নয়৷

[‘কোটি কোটি টাকার স্বপ্নই দেখে যান, কিছুই প্রমাণ হবে না’]

তবে নিয়ম মেনে মামলার শুনানি চলাকালীন  প্রতিদিন মেয়েটি আদালতে হাজির করানো হত৷ নেহাতই  মন ভোলানোর জন্য মেয়েটিকে দেওয়া হয়েছিল এক কাগজ ও পেন্সিল৷ আদালত কক্ষে বসেই একটি ছবি আঁকে সে৷ ছবিতে দেখা যায়,  একটি পরিত্যক্ত বাড়ির পাশে বেলুন হাতে একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে৷ পাশে পড়ে রয়েছে তার পোশাক৷ বিচারক এ এস জে যাদব বলেন, ‘বাড়ির কেউ যে তাকে বিবস্ত্র করে দিনের পর দিন যৌন হেনস্থা চালিয়েছে এবং সেই ঘটনা শিশুমনে কতটা গভীর প্রভাব ফেলেছে এই ছবি-ই তার প্রমাণ৷ তাই এই শিশুটিকে আমি উপযুক্ত সাক্ষী বলেই মনে করছি৷’ এরপরই অভিযুক্তকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার সাজা দেন বিচারক৷ পাশাপাশি, মেয়েটির পুর্নবাসনের জন্য অভিযুক্তকে আরও তিন লাখ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement