Advertisement
Advertisement

Breaking News

জোট

দুর্নীতির সঙ্গে জোট রয়েছে কংগ্রেসের, কটাক্ষ নরেন্দ্র মোদির

দেশের ভাল হলে দুঃখ পায় কংগ্রেস, মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর।

Narendra Modi said Congress has alliance with Corruption.
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:March 30, 2019 7:00 pm
  • Updated:March 30, 2019 7:00 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্নীতির সঙ্গে জোট রয়েছে কংগ্রেসের। শনিবার অরুণাচল প্রদেশের আলোতে নির্বাচনী জনসভা করতে গিয়ে এই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, “অতীতে গরিবের জন্য বরাদ্দ রেশন চুরি হয়েছে। রেশন ব্যবস্থায় দুর্নীতি করার জন্য জেলও হয়েছে অনেকের। আসলে দুর্নীতির সঙ্গে আগাগোড়াই জোট রয়েছে কংগ্রেসের। পরবর্তী সময়ে তাতে যোগ দিয়েছে বাকি দুর্নীতিগ্রস্তরা।” এই মন্তব্যের পাশাপাশি বিভিন্ন দুর্নীতির মামলায় যারা জামিনে বাইরে আছে তারা তাকে অপমান করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। অরুণাচল প্রদেশকে ভারতের শক্তিশালী বর্ম হিসেবে উল্লেখ করে অভিযোগ করেন, কংগ্রেসের নামদাররা (নামী) এই রাজ্যকে বরাবর অবহেলা করেছে।

[আরও পড়ুন- এনআরসিতে নাম তোলার তাগিদ, লাইনেই সন্তান প্রসব মহিলার]

Advertisement

আগামী ১১ এপ্রিল অরুণাচল প্রদেশের ৬০টি বিধানসভা ও দুটি লোকসভা আসনে নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগে বিজেপির তিনজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। শনিবার এই ঘটনাকে দলের পক্ষে ভাল লক্ষণ বলে উল্লেখ করে মোদি বলেন, “দিল্লির নামী পরিবার ও এই রাজ্যে থাকা তাদের সভাসদরা শুধুমাত্র মালাই খাওয়ার চিন্তাই করে। রাজ্যের উন্নয়নের কথা ভাবে না। আমার পাঁচ বছরের শাসনকালে উত্তর-পূর্ব ভারতে আমি ৩০ বারেরও বেশি এসেছি। আমার আগে ৩০ বছর এই রাজ্যে কোনও প্রধানমন্ত্রী আসেনি। যাঁরা নিজেদের ভারতের ভাগ্যবিধাতা বলে মনে করেন তাঁদের কাছে জানতে চাই, আপনারা কতবার এই রাজ্য এসেছেন।”

Advertisement

[আরও পড়ুন- দিনের পর দিন সারমেয়দের যৌন নির্যাতন, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত ]

এরপরই কারওর নাম না করে কংগ্রেসের স্থানীয় নেতাদের তীব্র আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “যারা আয়করের টাকা খেয়েছে, কৃষকদের জমি লুট করেছে, খবরের কাগজের নামে বরাদ্দ বিনামূল্যের জমির ভাড়া পকেটস্থ করেছে, প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি করার সময় টাকা নিয়ে জামিনে বাইরে আছে। তারা আমাকে অপমান করার চেষ্টা করছে। আর এখানকার স্থানীয় নেতারা দিল্লিতে বসবাসকারী ওই ধরনের নেতাদের থেকে অনুপ্রেরণা পাচ্ছে। এই মানুষগুলোর দেশের ক্ষমতার উপর কোনও বিশ্বাস নেই। দেশের যুব সম্প্রদায়কেও বিশ্বাস করে না এরা। তাই যখন দেশ কোনও বিষয়ে সাফল্য পায় ওই নামী লোকগুলো খুব দুঃখ পায়। সার্জিকাল স্ট্রাইকের পর জঙ্গিরা যখন নিজেদের আস্তানাতেই খতম হয়। দেশ যখন কোনও বৈজ্ঞানিক সাফল্য অর্জন করে তখন সাধারণ নাগরিকরা আনন্দিত হলেও ওদের খারাপ লাগে। আসলে ওরা জঙ্গিদের ভাষায় কথা বলে। দেশের কথা না বলে পাকিস্তানের কথা বলে। আর এতেই দেশের প্রতি ওদের ভালবাসা কতটা তা পরিষ্কার বোঝা যায়।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ