সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশে সরকার বাঁচাতে এবার করোনা ভাইরাসকে(COVID-19) হাতিয়ার করছেন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। করোনা সংক্রমণকে হাতিয়ার করে সরকার বাঁচানোর পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনাও ফেঁদে ফেলছেন কংগ্রেস নেতারা। কংগ্রেসের প্রথম কৌশল, যেনতেনপ্রকারেণ সোমাবারের আস্থা ভোট বন্ধ রাখা। দ্বিতীয় কৌশল, করোনার অজুহাত দিয়ে দলত্যাগী বিধায়কদের আলাদা করে দেওয়া।
সোমবার আস্থা ভোট এড়াতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণকে হাতিয়ার করে বিধানসভার অধিবেশন স্থগিত করার পরিকল্পনা করছে কংগ্রেস সরকার। আসলে কমল নাথ(Kamal Nath) চাইছেন, কিছুটা সময় কেড়ে নিতে। যাতে দলত্যাগী বিধায়কদের বুঝিয়ে ফিরিয়ে আনা যায়। সূত্রের খবর, রবিবার রাতেই স্পিকার ঘোষণা করতে পারেন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের জন্য বিধানসভার অধিবেশন সাময়িকভাবে পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে কমল নাথের হাতিয়ার হবে মোদি সরকারেরই একটি নির্দেশিকা। কেন্দ্রের তরফেই নির্দেশিকা দিয়ে জানানো হয়েছে, করোনার সংক্রমণ এড়াতে এই মুহূর্তে বড় জমায়েত না করাই ভাল। সেই নির্দেশিকা মেনে আরেক কংগ্রেস শাসিত রাজ্য রাজস্থান ইতিমধ্যেই বিধানসভার অধিবেশন পিছিয়ে দিয়েছে। সেই পথেই হাঁটতে পারেন কমল নাথ। সেক্ষেত্রে, সোমবার আস্থাভোট হবে না। রবিবার এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন নির্দল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ জয়সওয়ালও। তাঁর কথায়, আমাদের কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। তাছাড়া এটা জরুরি নয় যে সোমবারই শক্তিপরীক্ষা হবে। যদিও, রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যে কোনও পরিস্থিতিতে ১৬ মার্চের মধ্যেই আস্থাভোটের আয়োজন করতে হবে।
Pradeep Jaiswal, #MadhyaPradesh Minister and independent MLA, after state cabinet meeting: We have the numbers. CM is confident. Wait and watch. Kal pariksha (floor test) hogi koi zaroori nahi hai, abhi toh corona chal raha hai. pic.twitter.com/JuxQf5F2tw
— ANI (@ANI) March 15, 2020
শুধু আস্থাভোট পিছানোই নয়, আরও পরিকল্পনা রয়েছে কংগ্রেসের। মধ্যপ্রদেশে এখনও করোনা না ছড়ালেও বেঙ্গালুরুতে ভালই ছড়িয়েছে করোনা। তাই বিধায়করা বেঙ্গালুরু থেকে ফিরলেই তাঁদের আলাদা আলাদাভাবে করোনা পরীক্ষা করা হবে। এবং, তাঁদের মধ্যে করোনার কোনও উপসর্গ দেখা গেলেই কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে, দলত্যাগী বিধায়কদের ঐক্যে চিড় ধরতে পারে। তাছাড়া, আলাদা আলাদা থাকলে তাঁদের বোঝাতেও সুবিধা হবে কংগ্রেসের পক্ষে। যদিও এই পরিকল্পনা বাস্তবে কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.