Advertisement
Advertisement
করোনা

গোটা হাসপাতালে থুতু ছিটিয়ে বেড়ালেন কোয়ারেন্টাইনে থাকা রোগীরা, বাড়ছে সংক্রমণের আশঙ্কা

গোটা ঘটনাটি ঘটে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সামনে।

Coronavirus: several quarantined people accused of spitting in Hospital
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:April 4, 2020 9:56 am
  • Updated:August 21, 2020 1:50 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে এলে কোনও ব্যক্তিকে রাখা হচ্ছে কোয়ারেন্টাইনে। লক্ষ্য, ১৪ দিন বন্দি থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ সুস্থ এবং করোনা থেকে দূরে রাখা। কিন্তু সেখানেও শান্তি নেই। কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষগুলিই জীবাণু ছড়ানোর একপ্রকার দায়িত্ব নিয়ে ফেলেছেন। অসমের গোলাঘাট জেলার এক হাসপাতাল অন্তত সেই দৃশ্যেরই সাক্ষী রইল।

দেশে করোনা সংক্রমণের হটস্পটে পরিণত হয়েছে দিল্লির নিজামুদ্দিন। সেখান থেকে আসা আট করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছিলেন ৪২ জন। সেই কারণেই গোলাঘাটের একটি হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে তাঁদের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, শুক্রবার তাঁদের অনেকেই গোটা হাসপাতালে থুতু ফেলে বেড়ান। শুধু জানলা দিয়ে বাইরেই নয়, কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ডের মেঝেতেও থুতু ফেলেন তাঁরা বলে অভিযোগ। এমনকী, স্বাস্থ্যকর্মীদের গায়েও থুতু ছিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। হাসপাতাল কর্মীরা জানাচ্ছেন, দায়িত্বজ্ঞাহীন ওই ব্যক্তিদের কাণ্ডকারখানা থামাতে বিল্ডিংয়ের বাইরের পাইপ পেয়ে উঠে কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ডের জানলা বন্ধ করতে হয় তাঁদের। সবচেয়ে লজ্জার বিষয় হল, গোটা ঘটনাটি ঘটে অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বর সামনে। গতকাল হাসপাতাল পরিদর্শনে এসেছিলেন তিনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: লকডাউনের মাঝেই নয়া সিদ্ধান্ত, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাতিল এয়ার ইন্ডিয়ার সমস্ত বুকিং]

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “যাঁদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে, তাঁদের অনেকেই মনে করছেন তাঁরা একেবারে সুস্থ আছেন। আমরা জোর করে তাঁদের এখানে রেখে দিয়েছি। সেই জন্যই সর্বত্র থুতু ফেলে বেড়াচ্ছে। পরিবারেরই উচিত ফোনে তাঁদের বিষয়টা বোঝানো। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে এসব করা যে ঠিক নয়, তাঁদের বুঝতে হবে। যত্রতত্র থুতু ফেললে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়বে। ওঁরা যেভাবে জানলার বাইরে থুতু ফেলেছেন, তাতে আমি দুঃখিত। ওঁদেরও যেমন বুঝতে হবে, সমাজকেও ওঁদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করতে হবে।”

বৃহস্পতিবারই জানা গিয়েছিল, নিজামুদ্দিনে তবলিঘি জামাতের অনুষ্ঠান থেকে অসমে ফেরা ১৬ জনের শরীরে হদিশ মিলেছিল মারণ ভাইরাসের। শুক্রবার আরও চারজন দিল্লি ফেরত করোনায় আক্রান্ত বলে জানা যায়। গোটা দেশে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই ২৫০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৬২ জনের। এমন পরিস্থিতিতে গোলাঘাটের হাসপাতালের এই দৃশ্য নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক।

[আরও পড়ুন: লকডাউন ভেঙে নামাজ পড়ার ধুম, বোঝাতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ কর্মীরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement