সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোন মুহূর্তে কী থেকে ছড়িয়ে পড়ে মারণ করোনা ভাইরাস, কারও সঠিকভাবে জানা নেই। তাই সংক্রমণ ঠেকাতে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। আর সেই জন্যই এবার যাত্রীদের কম্বল দেওয়া বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় রেল।
করোনার আতঙ্কে ত্রস্ত গোটা দেশ। যতদিন যাচ্ছে, লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতি যাত্রীসুরক্ষায় সতর্কতা জারি করেছে ভারতীয় রেলও। আর সেই জন্যই ঠিক করা হয়েছে যাত্রীদের ব্যবহার করা কম্বল পুনরায় অন্য যাত্রীকে দেওয়া হবে না। পশ্চিম রেলের পিআরও জানান, এসি ট্রেনে সাধারণত যাত্রীদের জন্য কম্বলের ব্যবস্থা থাকে। সেই সঙ্গে কাচের জানলায় থাকে পর্দাও। কিন্তু আপাতত এই দুটি জিনিসই রাখা হচ্ছে না। যাত্রীদের বলা হয়েছে, সফরে তাঁরা যেন নিজেরাই কম্বল সঙ্গে আনেন।
পিআরও বলেন, “নির্দেশ অনুয়াযী, প্রত্যেক সফরের পরই এসি ট্রেনের সমস্ত পর্দা ও কম্বল ধোয়া হয় না। এর মাধ্যমে কোনওভাবে যাতে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেই কারণেই সমস্ত পর্দা ও কম্বল সরিয়ে ফেলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত এই পরিষেবা দেওয়া হবে না যাত্রীদের। তাই প্রয়োজনে যাত্রীদেরই কম্বল আনতে হবে।” সেই সঙ্গে এও বলা হয়েছে, শুধুমাত্র জরুরি অবস্থাতেই অতিরিক্ত চাদর দেওয়া হবে যাত্রীদের।
ইতিমধ্যে এই সংক্রান্ত একটি টুইটও করেছে পশ্চিম রেল। যেখানে রেলকর্মীদের এসি ট্রেন থেকে দ্রুত পর্দা ও কম্বল সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ সেগুলি প্রতিটি সফরের পর নিয়মিত ধোয়া হয় না। সঙ্গে যাত্রীদের কাছে রেলের অনুরোধ, তাঁরা যেন প্রয়োজনে নিজেদের কম্বল সঙ্গে আনেন। পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটায় দুঃখিত রেল। কিন্তু করোনা থেকে বাঁচতেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
তবে শুধু পশ্চিম নয়, দক্ষিণ-পূর্ব ও ইস্ট-কোস্ট রেলও এ বিষয়ে একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সমস্ত এসি ট্রেনের কামরা থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে পর্দা ও ব্ল্যাঙ্কেট। সেই সঙ্গে জানানো হয়, এসি ট্রেনের তাপমাত্রা এমন রাখা হবে যাতে কম্বলের প্রয়োজন না হয়। তবে একান্ত প্রয়োজনে কম্বল দেওয়া হবে যাত্রীদের। এছাড়াও ভাইরাস ঠেকাতে ট্রেনের কামরাগুলির শৌচাগার নিয়মিত সংক্রমণ মুক্ত করার প্রক্রিয়া করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.