ছবি: প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (CoronaVirus) গ্রাস থেকে মুক্তি পাওয়ার পরও অন্যের শরীরে সংক্রমণ ঘটাতে পারেন রোগী। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন চিন ও আমেরিকার গবেষকরা। কোনও করোনা আক্রান্ত রোগী যদি পুরোপুরি রোগমুক্তও হন অর্থাৎ, তাঁর শরীরে যদি করোনার কোনও উপসর্গ নাও থাকে, তবুও তিনি COVID-19 সংক্রমণ ঘটাতে পারেন। চিকিৎসকদের গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই উদ্বেগজনক তথ্য। গবেষকরা বলছেন, পুরোপুরি রোগমুক্ত করোনা রোগীও বাকিদের জন্য বিপজ্জনক। তাই, সুস্থতার পর তাঁদের স্বাভাবিক জীবনে না ফিরিয়ে দিয়ে আরও কিছুদিন আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টাইনে রাখা উচিত।
American Journal of Respiratory and Critical Care Medicine নামের এক চিকিৎসা
সংক্রান্ত ম্যাগাজিনে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, চিন ও আমেরিকার চিকিৎসকরা একটি যৌথ সমীক্ষা করছেন। যাতে কমবেশি ৩৫ বছর বয়সি করোনা আক্রান্ত রোগীদের সংক্রমণ ক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করা হয়। এঁরা প্রত্যেকেই করোনার প্রাথমিক পর্যায়ে ছিলেন। এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে যান। দুটি আলাদা আলাদা ল্যাবরেটারি থেকে পরীক্ষা করার পর তাঁদের স্বাভাবিক জীবনে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই রোগীদের শরীরে করোনা ভাইরাসের কোনও উপসর্গও ছিল না। তা সত্ত্বেও এদের মধ্যে অর্ধেক রোগী নতুন করে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানো শুরু করেন।
ওই গবেষকদলের এক চিকিৎসক বলছেন, “আমাদের সমীক্ষার সবচেয়ে বিপজ্জনক পর্যবেক্ষণ হল, অর্ধেক রোগীর শরীরে কোনও উপসর্গও না থাকা সত্ত্বেও তাঁরা করোনা ছড়াচ্ছিল।” আরেক গবেষক বলছেন,”যদি আপনার শরীরে করোনার অল্পস্বল্প উপসর্গ দেখা যায়, এবং আপনি অন্যদের এই রোগ থেকে দূরে রাখার জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তাহলে নিজের কোয়ারেন্টাইন পিরিয়ড বাড়িয়ে নিন। সুস্থতার পরও অন্তত ২ সপ্তাহ থাকুন আইসোলেশনে।” গবেষকরা বলছেন, সুস্থ হওয়ার পর ১-৮ দিন পর্যন্ত করোনার সংক্রমণ ঘটাতে পারে আক্রান্ত রোগী। সেক্ষেত্রে তাঁর আরও অন্তত ২ সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনে থাকা উচিত।
ভারতের মতো দেশের জন্যও এই গবেষণা অত্যন্ত জরুরি। কারণ, ভারতে আক্রান্তদের কোয়ারেন্টাইন ভেঙে বেরিয়ে যাওয়ার প্রবনতা বেশি। তাছাড়া এখানে পরীক্ষার বন্দোবস্তও কম। সরকারের কাছে স্পষ্ট ধারণা নেই, মারক ভাইরাস কতদুর পর্যন্ত প্রভাব ফেলেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.