সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বস্তির কোনও জায়গা নেই। এই শীতকালেই ভারতে দ্বিতীয়বারের জন্য বড়সড় আঘাত হানতে পারে নোভেল করোনা ভাইরাস (Coronavirus)। বলছে খোদ কেন্দ্রের গঠন করা করোনা সংক্রান্ত কমিটি। যারা কিনা দাবি করেছে, আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতেই দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। কিন্তু তার আগে উৎসবের মরশুম এবং শীত, এই দুইয়ের যুগলবন্দিতে করোনার প্রকোপ অনেকটা বাড়তে পারে।
কেন্দ্রের তৈরি টাস্ক ফোর্সের প্রধান তথা নীতি আয়োগের সদস্য ভি কে পল (V K Paul) বলছিলেন,গত ৩ সপ্তাহ ধরে দেশে নতুন সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমের দিকে। দেশের বেশিরভাগ রাজ্যেই এই মহামারী পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল। তবে কেরল, কর্ণাটক, রাজস্থান, ছত্তিশগড় এবং বাংলায় এখনও সংক্রমণের গতি ঊর্ধ্বমুখী। দেশে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা আসতে পারে কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি সাফ জানিয়েছেন,”হতেই পারে। এই সম্ভাবনা এখনই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। অনেক কিছুই হতে পারে। এই ভাইরাস সম্পর্কে এখনও আমরা অনেক কিছু শিখছি।” ভি কে পল বলছেন,”এই শীতকালে উত্তর ভারতে দূষণের পরিমাণ অনেকটা বেড়ে যায়। আর তার সঙ্গে উৎসবের মরশুম। আমাদের অত্যন্ত দায়িত্বশীল হতে হবে। নাহলে, এই লড়াইয়ে যতটা আমরা এগোতে পেরেছি, সেখান থেকে আবার পিছিয়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল।” নীতি আয়োগের সদস্য বলছেন, আমরা হয়তো আগের থেকে ভাল জায়গায় আছি, কিন্তু দেশের ৯০ শতাংশ জনসংখ্যার এখনও এই ভাইরাসের (COVID-19) কবলে পড়ার সম্ভাবনা আছে।
দেশে কোভিড সংক্রমণের গতিপ্রকৃতি এবং তার প্রতিকারের উপায় খুঁজতে এই বিশেষ কমিটি গঠন করেছিল কেন্দ্র। দেশের বেশ কয়েকটি আইআইটি ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর সদস্যরা এই কমিটিতে রয়েছেন। কমিটির দায়িত্ব ছিল ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সুপারমডেল’ নামে একটি গাণিতিক মডেল তৈরি করা। এই মডেলের মাধ্যমে দেশে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের দিশা দেখানো। সেই গাণিতিক মডেল বিশ্লেষণ করেই কমিটি দাবি করেছে, ভারত করোনা সংক্রমণের শীর্ষবস্থা পেরিয়ে এসেছে। সমস্ত নিয়ম মেনে চললে নতুন বছরের গোড়ার দিকেই করোনা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে চললে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির শেষে অতিমারিকে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। তখন সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা থাকবে খুব সামান্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.