সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচন কমিশন যখন চাইবে তখনই বিহারে নির্বাচন হবে। করোনার (Coronavirus) জন্য নির্বাচন পিছনো যাবে না। বিহার নির্বাচন পিছনোর দাবিতে হওয়া মামলা খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, নির্বাচন কবে বা কীভাবে হবে তা নিয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে (Chief Election Commissioner) নির্দেশ দিতে পারে না সর্বোচ্চ আদালত। উল্লেখ্য, কমিশনের তরফে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, করোনা পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন, বিহারের নির্বাচন সময়মতোই হবে।
এবছর নভেম্বরে নির্বাচন হওয়ার কথা বিহারে। কিন্তু যে হারে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তাতে এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনের আয়োজন করা ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার অবশ্য চাইছেন, ভোট সময়মতোই হোক। বিজেপিরও তাই দাবি। তবে নীতীশের জোটসঙ্গী লোকজন শক্তি পার্টির নেতা চিরাগ পাসওয়ান এবং গোটা বিরোধী শিবির চাইছে ভোট পিছিয়ে দেওয়া হোক। রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোরও চাইছেন ভোট পিছিয়ে দেওয়া হোক। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজনৈতিক ফায়দার জন্য মানুষের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে নির্বাচন করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু মুখে বিরোধিতা নয়, নির্বাচন পিছনোর দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনও করা হয়। আবেদনটি করেন অবিনাশ ঠাকুর নামের এক ব্যক্তি।
সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল,”করোনার অজুহাতে নির্বাচন কমিশনারের ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করা যায় না। আদালত তাঁকে কিছুই বলতে পারেন না। কী করা উচিত সেটা তিনিই সবদিক বিচার বিবেচনা করে ঠিক করবেন। তাছাড়া বিহার নির্বাচনের (Bihar elections) বিজ্ঞপ্তি এখনও জারি হয়নি। সুতরাং এখনই নির্বাচন পিছানোর প্রশ্নই আসছে না। আশা করি, নির্বাচন কমিশন সবদিক ভেবে চিন্তে উপযুক্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা করবেন।” সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের অর্থ, বিহারের ভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত এখন পুরোপুরি কমিশনের হাতে। আর কমিশন (Election Commission) আগেই ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। অর্থাৎ নভেম্বরেই বিহারে ভোট হচ্ছে। বিহারের ভোট না পিছানোর আরও একটা অর্থ হল, পরিস্থিতি যাই হোক, আগামী বছর বাংলাতেও সঠিক সময়েই ভোট হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.