Advertisement
Advertisement

ভারতীয় নৌসেনায় করোনার থাবা, মুম্বইয়ে আক্রান্ত ২১ নাবিক

এই প্রথম নৌসেনায় করোনা সংক্রমণের দেখা মিলল।

Coronavirus India: 15 to 20 Indian Navy Sailors In Mumbai Test Positive
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:April 18, 2020 8:35 am
  • Updated:April 18, 2020 8:35 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার ভারতীয় নৌসেনায় থাবা বসাল করোনা।মুম্বইয়ে নৌসেনার ঘাঁটি ‘INS-Angre’র অন্তত ২০ জন নাবিকের শরীরে পাওয়া গিয়েছে কোভিড-১৯ জীবাণু। তাঁদের মুম্বইয়ে নৌসেনার হাসপাতাল ‘INHS Ashwini’-তে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। 

[আরও পড়ুন: নিজামুদ্দিন ফেরত রোহিঙ্গারা কোথায়? রাজ্যগুলিকে নজরদারির নির্দেশ দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক]

নৌসেনা সূত্রে খবর, এই প্রথম নৌসেনায় করোনা সংক্রমণের দেখা মিলল। ‘INS-Angre’ আসলে কোনও যুদ্ধ জাহাজ নয়। এটি নৌসেনার মুম্বইস্থিত একটি ঘাঁটি। এখানে নাবিকদের থাকার জন্য বারাক রয়েছে। এখান থেকেই নৌসেনার প্রশাসনিক কাজ চালানো হয়।উদ্বেগজনকভাবে, নৌসেনার ওয়েস্টার্ন ন্যাভাল কমান্ডের আওতায় থাক ন্যাভাল ডকইয়ার্ড থেকে ‘INS-Angre’ মাত্র কয়েকশো মিটারের। মুম্বইয়ের ন্যাভাল ডকইয়ার্ডেই রয়েছে নৌসেনার একাধিক আধুনিক যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন। ফলে নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজগুলিতেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে সংক্রমিত এলাকার সমস্ত নাবিকদের চিহ্নিত করে তাঁদের করোনা টেস্ট করা হবে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, আক্রান্ত নাবিকদের সংস্পর্শে আসা মানুষের খোঁজ চালানো হচ্ছে। 

উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের সঙ্গে মোকাবিলায় ভারতীয় নৌসেনা প্রস্তুতি চালাচ্ছে।লকডাউনের সময়ও সমুদ্রে ভেসে জলসীমা রক্ষা করা থেকে শুরু করে উপকূলের উপর নজরদারি চালাচ্ছে নৌসেনার গুটিকয়েক যুদ্ধজাহাজ। অনেকগুলি আবার রয়েছে জেটিতে। সেনাকর্মীদের শরীরের অবস্থা জানতে প্রত্যেকটি যুদ্ধজাহাজে মেডিক্যাল টিম পাঠানো হচ্ছে। কলকাতার নৌসেনা ঘাঁটি আইএনএস নেতাজি সুভাষে তৈরি হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ড।

নৌসেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশরক্ষায় কিছু যুদ্ধজাহাজ সমুদ্রে ভেসেছে। জল অথবা ডাঙায়, কড়াকড়িভাবে নৌসেনাকর্মী ও নাবিকদের পারস্পরিক দূরত্ব মেনে থাকতে হচ্ছে। ২০ জনের একটি টিমকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাঁরা মেডিক্যাল টিমকে সাহায্য করছেন। এই টিমটি প্রতিনিয়ত নৌসেনা আধিকারিক, কর্মী ও তাঁদের পরিবারের লোকেদের শরীর পরীক্ষা করছেন। নৌসেনা ঘাঁটিতে চলছে স্যানিটাইজেশন। সেখানে ঢুকতে গেলেই স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হচ্ছে। কারও জ্বর হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করা হচ্ছে থার্মাল গান দিয়ে। যাঁরা ছুটি কাটানোর পর ডিউটি করতে এসেছিলেন, তাঁরা এখনও আইসোলেশনে রয়েছেন। যাঁরা ছুটিতে আছেন, তাঁদের বাড়িতেই থাকতে বলা হয়েছে। বহু কর্মীর ডিউটিই বাতিল করা হয়েছে।       

[আরও পড়ুন: ‘ভারত করোনার সঙ্গে লড়ছে আর পাকিস্তান সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে’, তোপ সেনাপ্রধানের]                           

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement