সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের করোনা (Coronavirus) যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। দেশবাসীর সামনে তাঁর বারংবার আবির্ভূত হওয়া, বারংবার বার্তা দিয়ে লকডাউন বিধি মানতে বলা, বাড়িতে থাকতে আবেদন করা, এই সব কিছুই করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ভারতের সংগ্রামের একটি অপরিহার্য অঙ্গ। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে হওয়া একটি সমীক্ষায় এই বিশ্লেষণই সম্প্রতি সর্বসমক্ষে এসেছে।
কোভিড-১৯ নিয়ে ভারত সরকারের ভূমিকা প্রসঙ্গে একটি বিশ্লেষণধর্মী সমীক্ষা করেছিল কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। আর তাতেই জানা গিয়েছে, COVID-19 অতিমারীর আবহে, ভারতের জনগণকে লকডাউন বিধি মানতে এবং ঘরে থাকতে বাধ্য করার পিছনে অনুপ্রেরণা ছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই। কারণ বার বার ‘মৃদু ধাক্কা’ (দেশবাসীর উদ্দেশ্যে একাধিক টিভি বার্তায় আবির্ভূত হওয়া) দিয়ে, তৎপরতা দেখিয়ে তিনিই ভারতের কোভিড-যুদ্ধকে কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। ‘ইন্ডিয়া নাজেস টু কনটেন কোভিড-১৯ প্যানডেমিক: এ রিঅ্যাক্টিভ পাবলিক পলিসি অ্যানালিসিস ইউজিং মেশিন লার্নিং বেসড টপিক মডেলিং’ (Covid-19 pandemic: A reactive public policy analysis using machine-learning based topic modelling’) শীর্ষক ওই সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে গত ১১ সেপ্টেম্বর ‘পিএলওএস ওয়ান’ নামের একটি জার্নালে। সমীক্ষায় ভারত সরকারের তরফে প্রকাশিত প্রেস রিলিজগুলিকেও বিশ্লেষণ করা হয়েছিল।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, “তাঁর (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি) বারংবার জনতার সামনে আসাই ছিল তাৎপর্যপূর্ণ সেই ফ্যাক্টর, যা ১.৩ বিলিয়ন জনগণের দেশে কড়া লকডাউন এবং সামাজিক দূরত্ববিধি অনুসরণ করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছিল। এই ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা সামাল দিতে অগ্রণী হয়েছিল ‘প্রাইম মিনিস্টার্স সিটিজেন অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যান্ড রিলিফ ইন এমার্জেন্সি সিচু্যয়েশনস ফান্ড’ বা PM CARES ফান্ড যা সৃষ্টির মূলে ছিল পিএমও। পিএম কেয়ারস ফান্ড তৈরিই হয়েছিল, দেশের যে কোনও বিপর্যয় সামাল দিতে জনগণের সাহায্য সংগ্রহের জন্য।
শুধু তাই নয়। আক্ষরিক অর্থেই জনতার প্রধানমন্ত্রী, নরেন্দ্র মোদিও বার বার দেশকে কোভিড লড়াইয়ে সামিল হওয়ার আহ্বান দিয়েছিলেন। এমনকী, অনাক্রম্যতা বাড়ানোর জন্য যোগচর্চা ও আয়ূর্বেদের দ্বারস্থ
হতেও আহ্বান করেছিলেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.