ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিন থেকে ভারত, ফের কোভিড (COVID-19) কাঁটায় আশঙ্কা বাড়ছে। করোনা ভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট BF.7 হানা দিয়েছে এদেশে। আক্রান্ত বেশ কয়েকজন। যদিও তাঁদের সকলের শারীরিক অবস্থাই স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু ওই, কথায় বলে ‘সাবধানের মার নেই’। তাই সিঁদুরে মেঘ দেখেই সাবধানী কেন্দ্র। ফের একাধিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী। কিন্তু মহামারীর দাপট ফিরতেই আমজনতার মনে প্রশ্ন, আবার কি লকডাউন (Lockdown) হবে দেশে? তারই জবাব মিলল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের তরফে।
আইএমএ-র (Indian Medical Association)তরফে ডঃ অনিল গোয়েল একটি সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট জানালেন, লকডাউনের কোনও প্রয়োজন নেই। তাঁর মতে, ৯৫ শতাংশ মানুষের টিকা নেওয়া। এছাড়া ভারতীয়দের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা চিনাদের থেকে অনেকটাই বেশি। করোনার নয়া সাব ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে যুঝে নিতে পারবেন তাঁরা। তাই লকডাউনের কোনও সম্ভাবনা নেই। ডঃ গোয়েলের আরও পরামর্শ, থ্রি-টি (3-T) অর্থাৎ টেস্টিং, ট্রিটিং, ট্রেসিং বা নমুনা পরীক্ষা, শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার মাধ্যমে যেভাবে আগে করোনা প্রতিরোধ করা হয়েছিল, এবারই সেই নিয়ম ফেরাতে হবে।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে দেশের বিমানবন্দরগুলিকে (Airports) সতর্ক করা হয়েছে। সংক্রমণ বেশি, এমন দেশ থেকে আগত যাত্রীদের বিমানবন্দরে পরীক্ষা করার কাজ শুরু হবে। চিন, ব্রাজিল, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশ থেকে এদেশে বিমানযাত্রীরা নামলেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশেষত মাস্ক পরায় কড়াকড়ি হতে পারে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এদেশে নতুন করে করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ১৮৫। নতুন উপজাতিতে আক্রান্ত গুজরাট ও ওড়িশার ৬ জন। এছাড়া দেশের অন্যতম দর্শনীয় স্থান তাজমহলে (Tajmahal) কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। করোনা পরীক্ষা ছাড়া পর্যটকদের প্রবেশাধিকার নেই।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, BF.7-এর সংক্রামক ক্ষমতা অনেকটা বেশি। তবে তা প্রাণঘাতী নয়। তাই সাবধানতা অবলম্বনই তাকে প্রতিরোধ করার পক্ষে যথেষ্ট বলে মত স্বাস্থ্য মহলের বড় অংশের। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনেরও পরামর্শ তেমনই। ডক্টর গোয়েলের কথাতেই স্পষ্ট, চিনের মতো ভারতে নতুন করে লকডাউনের কোনও প্রয়োজন নেই।
আসলে চিন একাধিক ক্ষেত্রে করোনা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ। সেখানে হু হু করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এই চিন থেকেই গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে মহামারী। কিন্তু তারপরও হুঁশ ফেরেনি তাদের। স্বাস্থ্যবিধি, টিকা প্রদান – এসব খুব ভালভাবে হয়নি সে দেশে। ফলে নতুন করে বিপদ মাথাচাড়া দিয়েছে। তুলনায় ভারত করোনা মোকাবিলায় অনেক এগিয়ে। এখানে নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, প্রতিষেধক প্রদানের মতো বড় বড় কর্মসূচি বড়সড় সাফল্যের মুখ দেখেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.