সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আতঙ্কের মধ্যেই বাজার থেকে কার্যত উধাও মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার। হাতে গোনা কয়েকটি মাত্র দোকানে মিলছে এগুলি। কিন্তু দাম আকাশছোঁয়া। এককথায় বলতে গেলে, মানুষের আতঙ্কের সুযোগ নিয়ে দেশজুড়ে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের কালোবাজারি চলছে। এধরণের বেশকিছউ অভিযোগও সামনে এসেছে। এরপরই নড়েচড়ে বসল কেন্দ্র সরকার। সংক্রমণ রুখতে মাস্ক ও স্যানিটাইজারকে অত্যাবশকীয় সামগ্রী হিসেবে ঘোষণা করল কেন্দ্র সরকার। ফলে এই দুই সামগ্রীর কালোবাজারি করলে জেলের হাওয়া খেতে হতে পারে। তাও আবার সাত বছরের জন্য। দিতে হবে মোটা টাকা জরিমানাও। কোনও কোনও ক্ষেত্রে এই দুটোয় করতে হতে পারে।
ভারতে ক্রমশ দৃঢ় হচ্ছে করোনার কামড়। দুজনের মৃত্যু হয়েছে। সংক্রামিত ৮৫ জন। আক্রান্ত সন্দেহে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন অন্তত চার হাজার মানুষ। সংক্রমণ রুখতে একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বন্ধ রাখা হচ্ছে জমায়েত। প্রায় সবসময় মাস্ক দিয়ে মুখ ঢেকে রাখার নিদান দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। এমনকী ২০ মিনিট অন্তর হাত ধোয়ারও পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু অত্যাবশকীয় মাস্ক আর হ্যান্ড স্যানেটাইজারের আকাল দেখা দিয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সরবরাহে ইচ্ছে করে টান তৈরি করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে মুম্বইয়ের একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে।
[আরও পড়ুন : মেলেনি অ্যাম্বুল্যান্স, বেলেঘাটা আইডিতে রেফারের পরও বনগাঁ হাসপাতালে বাইরে পড়ে বৃদ্ধ]
ভাইরাল হওয়া একটি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, মুম্বইয়ের ভিওয়ান্ডি এলাকার একটি গুদামে মাস্ক ধোয়া হচ্ছে। তারপর সেগুলি শুকিয় নিয়ে ফের বিক্রি করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন এলাকায় ফেলে দেওয়া মাস্ক কুড়িয়ে এনে পুনর্ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই মাস্কগুলি চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে মুম্বই পুলিশ। ২২ বছরের এক যুবক ইমরান সেইখকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মাস্কগুলি কোথা থেকে আসত, কোথায় বিক্রি করা হত তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
এদিকে কালোবাজারি সামাল দিতে মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারকে অত্যাবশকীয় সামগ্রীর অধীনে আনা হয়েছে। ফলে এই সামগ্রীর কালোবাজারি করলে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র সরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.