Advertisement
Advertisement
করোনা নিয়ে চ্যালেঞ্জ।

হাতে গোনা ল্যাব-স্বাস্থ্য পরীক্ষায় মোটা খরচ, করোনা মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত ভারত?

দু'সপ্তাহের মধ্যে করোনা যুদ্ধ দেশের কাছে চ্যালেঞ্জ।

Corona scare: How big challenge is to control the situation within 2 weeks in India
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 18, 2020 8:55 pm
  • Updated:March 18, 2020 8:58 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময় মাত্র দু’সপ্তাহ। তার মধ্যেই ঘায়েল করতে হবে নোভেল করোনা ভাইরাসকে। দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া থেকে তাকে আটকাতে হবে। কিন্তু সীমিত পরিকাঠামো নিয়ে সেই কাজে কতটা সফল হবে ভারত, তা নিয়ে চিন্তিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বলা হচ্ছে, অসুস্থ বা বাছাই করা মানুষজনের শারীরিক পরীক্ষার মধ্য সীমাবদ্ধ থাকলেই করোনার সংক্রমণের সঠিক চিত্রটা পাওয়া যাবে না। তাই WHO‘র তরফে ভারত সরকারকে চিঠি লিখে পরীক্ষাগার বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র এনিয়ে ভাবনাচিন্তা করে একাধিক বেসরকারি ল্যাবরেটরিকে COVID-19 পরীক্ষার অনুমোদন দিতে চায়। তবে তা কার্যকর হওয়া এখনও সময়সাপেক্ষ।

দেশে COVID-19 পরীক্ষার জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামোযুক্ত ল্যাবরেটরির সংখ্যা ৭২। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের পরিসংখ্যান অন্তত এমনটাই। এরপর ৫১ টি বেসরকারি ল্যাবরেটরিকে পরীক্ষার অনুমোদন দেওয়া হবে। কিন্তু তারপরও প্রতিটি ল্যাবে যে সংখ্যক নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে, তা নগণ্য বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। WHO’র আঞ্চলিক অধিকর্তা পুনম ক্ষেত্রপাল সিংয়ের কথায়, “এভাবে পরীক্ষা করে একটা অঞ্চলের মধ্যে কী হারে করোনা ছড়িয়ে পড়ছে, তা বোঝা যাবে না। পরীক্ষা আরও বাড়াতে হবে। কারও ন্যূনতম শ্বাসকষ্ট হলেও, তাঁকে COVID-19 পরীক্ষার আওতায় আনা দরকার। আমরা একটা চিঠি লিখে ভারতকে জানিয়েছিলাম যে ল্যাবের সংখ্যা বাড়াতে। বেসরকারি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার হারও বাড়াতে হবে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: COVID-19’র সঠিক অর্থ জানেন না বিজেপির মুখপাত্র, সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসির খোরাক]

এই মুহূর্তে ৭২টি ল্যাবে এক হাজার পরীক্ষা হচ্ছে। এই সপ্তাহের শেষ থেকেই ১৪০০ নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। সংখ্যা মাত্র ৪০০ বৃদ্ধি করে বিশেষ কোনও সুরাহ হবে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। যারা বিদেশ থেকে ফিরেছে, তাদের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষজনেরও শ্বাসকষ্ট, সর্দিকাশি, নিউমোনিয়ার মতো উপসর্গ থাকলে COVID-19 পরীক্ষা প্রয়োজন। তা না হলে, কোনও অঞ্চলের সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতি বোঝা যাবে না। সেক্ষেত্রে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে রোগ।

এবার আসা যাক, খরচের কথায়। প্রথম ধাপের পরীক্ষায় ১৫০০ টাকা খরচ। শেষ বা চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য ৩০০০ টাকা খরচ পড়বে। সেষ পরীক্ষাটিই নির্ধারণ করবে কোনও ব্যক্তি করোনা পজিটিভ কি না। ভারতের মতো দেশে সামান্য সর্দিকাশি বা শ্বাসকষ্ট হলে, এত টাকা দিয়ে পরীক্ষা করানোর ক্ষমতা কতজনের আছে, তা নিয়েও সংশয়। ফলে সবমিলিয়ে দু’সপ্তাহের চ্যালেঞ্জে করোনার দাপট থামিয়ে দেওয়া দেশের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।

[আরও পড়ুন: JNU’র সামনের সাভারকার মার্গের সাইন বোর্ডে কালি, লেখা হল আম্বেদকরের নাম]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement