ফাইল ছবি
নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: করোনার মৃত্যুর সংখ্যার দৈনিক হিসেব রাখার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করুন। মৃত্যুর পাঁচ-দশ দিন পর তা পরিসংখ্যানে যোগ করলে হবে না। বাংলা-সহ ছ’টি রাজ্যকে এভাবেই চিঠি দিয়ে সতর্ক করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
দেশে নতুন সংক্রমণের (Corona Virus) সংখ্যা ধারাবিহকভাবে কমলেও মৃত্যুর সংখ্যা সেই হারে কমছে না। তাতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কেন্দ্রের কপালে। বিহার, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্য থেকে করোনার মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা সামনে আসছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। মহারাষ্ট্রও মৃত্যুর তথ্য দিতে দেরি করছে। যে ছ’টি রাজ্যকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্য মৃত্যুর সংখ্যা গোপনের অভিযোগ নেই। দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যার সঠিক হিসেব রাখা এবং তার সঙ্গে যাতে পুরানো তথ্য যোগ না হয় সেদিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, “আমরা অভিযোগ করছি না যে এই রাজ্যগুলি কোভিডের মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা গোপন করছে। করোনার ডেথ অডিট করতে গিয়ে সংক্রমণ কমছে অথচ মৃত্যু কমছে না, এমন ট্রেন্ড দেখে আমরা কয়েকটি রাজ্যকে চিঠি লিখেছি। রাজ্যগুলি থেকে দৈনিক মৃত্যুর যে তথ্য আসছে, তাতে কিছু্ দিন আগে মৃত্যু হয়েছে এমন সংখ্যাও জুড়ে যাচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে। সে দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাংলার পাঁচ-ছ’টি জেলার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে সংক্রমণ অনেক কমলেও মৃত্যুর সংখ্যা সেই তুলনায় কমেনি।”
সোমবার বাংলা, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কেরল, বিহার ও কর্ণাটককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে উত্তরপ্রদেশ এবং বিহার করোনার মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করছে না বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক (Health Ministry)। তার জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য কর্তা উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে ভিডিও বৈঠক করেছেন। আবার ১০ জুন বিহারকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। করোনার মৃত্যুর সংখ্যা কেন কমছে না, তা নিয়ে প্রায় সবমহল থেকে প্রশ্ন উঠছে। তাই কারণ খুঁজতে তৎপর হয়েছে মন্ত্রকও। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট আধিকারিক বলেছেন, “সংক্রমণ কমলেও মৃত্যুর সংখ্যা কমছে না। এমন হতে পারে না। খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে মহারাষ্ট্র দৈনিক হিসেব দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়ই পুরানো সংখ্যা যোগ করে। তাতে সেদিনের মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে যায়। এর আগে দেখেছেন, বিহার কীভাবে একদিনে সব প্রকাশ করেছিল। কয়েক মাসের পুরনো তথ্য যোগ করে দেশের একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা ছ’হাজার পার করিয়ে দিয়েছিল।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.