প্রতীকী
সুব্রত বিশ্বাস: ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে গিয়েছে করোনা ভ্যাকসিন। এবার রেলের ফ্রন্টলাইন কর্মীরা পাবেন এই টিকা। এই তালিকায় সবার উপরে রয়েছেন টিকিট পরীক্ষকরা। ট্রেনে ঘুরে যাত্রীদের টিকিট পরীক্ষার গুরুভার তাঁদের কাছে থাকায় সংক্রমণের আশঙ্কাও তাঁদের ক্ষেত্রে বেশি থাকে। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল।
রেল সূত্রে খবর, করোনা টিকা দেওয়ার তালিকায় টিটিইদের সবার সামনে রেখেছে রেল। এর পরেই থাকছেন বুকিং ক্লার্করা। সংরক্ষিত ও অসংরক্ষিত দু’টি ক্ষেত্রে কর্মরত এই কর্মীরা সাধারণ মানুষের সংস্পর্শে আসে। এরপর আরপিএফ, জিআরপি, লোকো পাইলট অর্থাৎ ট্রেনের চালক, গার্ড, স্টেশনে কাজ করেন এমন কর্মী, লাইনে কাজ করেন যাঁরা তাঁদের ধাপে ধাপে টিকা দেওয়া হবে। রেলবোর্ডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর বিনয় শ্রীবাস্তব এই নির্দেশ দেওয়ার পর তালিকা প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে খবর। এই নির্দেশ এখনও পূর্ব রেলের দপ্তরে এসে না পৌঁছলেও কেন্দ্রের নির্দেশমতো ১৬ জানুয়ারি ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হতে পারে বলে রেলের স্বাস্থ্য দপ্তর মনে করছে। এই বিষয়ে রেলের বি আর সিং হাসপাতালের মেডিক্যাল ডিরেক্টর এস কে রক্ষিত বলেন, “নির্দেশ খুব শিগগির আসবে বলে মনে করছি। এর জন্য বিশেষ প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই। কারণ, রুটিন ভ্যাকসিন বি আর সিং হাসপাতালে সারা বছর দেওয়া হয়। অভিজ্ঞতা ও পরিকাঠামো রয়েছে। ফলে নির্দেশ আসা মাত্র কাজ শুরু করতে আমাদের অসুবিধা হবে না।”
উল্লেখ্য, করোনা মহামারীর জেরে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকশো রেলকর্মী। এক পরিসংখ্যান মতে, বিগত কয়েকমাসে করোনায় (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার রেলকর্মী! মারা গিয়েছেন প্রায় সাতশো জন। মৃতদের অধিকাংশই ফ্রন্টলাইন কর্মী। ট্রেন চলাচলের সময় তাঁরা আমজনতার সরাসরি সংস্পর্শে এসেছিলেন। লকডাউনের শুরুতে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও গত বছরের মে মাসেই পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ ট্রেন চালানো শুরু হয়। দেশজুড়ে এই বিশেষ ট্রেন চলতে শুরু করার পর বহু রেলকর্মীকেই জনসাধারণের সরাসরি সংস্পর্শে আসতে হয়। আর তার ফলেই এই বিপুল সংখ্যক মানুষ সংক্রমিত হন বলে মনে করা হচ্ছে। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হয় কয়েকশো রেলকর্মীকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.