প্রতীকী ছবি।
সুব্রত বিশ্বাস: করোনার মারে টালমাটাল অর্থনীতি। ব্যবসা বাণিজ্য প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। দীর্ঘদিন ধরে গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ভারতীয় রেলও। তাই খরচ কমাতে প্রায় ৫ লক্ষ কর্মী সংকোচনের পরিকল্পনা করছে সংস্থাটি। চাকরিতে কোপ পড়ায় দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু করেছেন রেলকর্মীরা।
সোমবার, অল ইন্ডিয়া রেল ফেডারেশনের ডাকে পূর্ব রেলের সদর দপ্তর ফেয়ারলি প্লেস, হাওড়া, শিয়ালদহ, আসানসোল, মালদহ ডিআরএম দপ্তরের সামনে কালো ব্যাজ পরে বিক্ষোভ দেখান কর্মীরা। বিক্ষোভ হয় লিলুয়া, কাঁচড়াপাড়া, জামালপুর ওয়ার্কশপেও। পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ডিএ কার্যকর না হওয়া, পঞ্চাশ শতাংশ কর্মী সঙ্কোচন, ভাতা বন্ধ, নতুন পেনশনের দাবি, এস্টাবলিশমেন্ট কোড ও ম্যানুয়াল মার্জের প্রতিবাদে এদিন বিক্ষোভ দেখানো হয়। একইসঙ্গে সমস্ত বিষয় জানিয়ে জিএমকে দাবিপত্র দেওয়া হয়। কর্মীদের অভিযোগ, খরচ কমানোর নামে লোক ছাঁটাই চলবে না। খরচ বাঁচানোর অন্য আরও অনেক পন্থা আছে।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসেই কলকাতায় দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সদর দপ্তরে কর্মরত ৯১ জন নন-গেজেটেড ও দু’জন গেজেটেড কর্মীকে ছাঁটাই করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই মুহূর্তে রেলে প্রায় ১৩ লক্ষ মানুষ কর্মরত। তাঁদের অর্ধেককেই জবাব দিতে চলেছে সংস্থাটি। মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ বলেন, “দেশজুড়ে কর্মী ছাঁটাই করার পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। ৩০ বছর চাকরি বা ৫৫ বছর বয়স, যেটা আগে হবে সেই হিসেব করে কর্মীদের স্বেচ্ছাবসর দেওয়ার কথা ভাবছে রেল। এছাড়া বিভিন্ন দপ্তরের সংযোজন ঘটিয়ে কর্মী সংকোচন করা হতে পারে। তবে এটা আমরা মেনে নেব না। এর প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন চলবে।” প্রসঙ্গত, ভারতীয় অর্থনীতির চালিকাশক্তি রেল। দেশের সবচেয়ে বড় চাকরিদাতা সংস্থাও এটি। ফলে এখানে কর্মী সংকোচন শুরু হয়ে দেশে কর্মসংস্থান বাড়ানোর সরকারের পরিকল্পনা ধাক্কা খাবে বলেই মনে করছেন অনেকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.