Advertisement
Advertisement

Breaking News

হায়দরাবাদ গণধর্ষণ কাণ্ড

কীভাবে ধর্ষণ ও খুন করা হল হায়দরাবাদের তরুণী চিকিৎসককে? মিলল বিস্ফোরক তথ্য

ধৃত চারজনকে জেরা করে হায়দরাবাদ গণধর্ষণ কাণ্ডে জট খুলছে রহস্যের।

Cops unearth horrible details of Telengana's veterinarian gang rape

ছবি - প্রতীকী

Published by: Sayani Sen
  • Posted:November 30, 2019 2:52 pm
  • Updated:November 30, 2019 2:59 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। হায়দরাবাদে কীভাবে খুন করা হল ওই চিকিৎসককে? পরিকল্পনামাফিকই কী টার্গেট করা হয়েছিল তাঁকে? ধৃত চার অভিযুক্তকে জেরা করে একগুচ্ছ প্রশ্নের উত্তর পেল পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত বুধবার সকাল ৯টা নাগাদ হায়দরাবাদ থেকে মাত্র কুড়ি কিলোমিটার দূরে সামশাবাদের টোল প্লাজায় ইট ভরতি লরি নিয়ে আসে মহম্মদ আরিফ এবং জল্লু শিবা। সেখানেই ছিল জল্লু নবীন এবং চিন্তাকুন্টা চেন্নাকেসাভুলু। চারজন মিলে লরি থেকে ইট খালি করছিল। বছর কুড়ির ওই চার যুবক দেখে সন্ধে ৬টা ১৫ নাগাদ তরুণী চিকিৎসক টোল প্লাজায় স্কুটি পার্কিং করছেন। তারা তখনই তরুণীকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। রাত ৯টার পর নিজের কাজ সেরে আবার টোল প্লাজায় ফেরেন তরুণী চিকিৎসক। তিনি দেখেন স্কুটির চাকা ফুটো হয়ে গিয়েছে। কীভাবে বাড়ি ফিরবেন, কিছুই বুঝতে পারছিলেন না তিনি। সেই সময় আরিফ এবং শিবা তাঁর কাছে আসে। স্কুটি সারিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয় তারা। দু’জনে গ্যারেজ খোঁজার অছিলায় স্কুটি নিয়ে যায়। বেশ কিছুক্ষণ পর তারা স্কুটি নিয়ে ফিরে আসে। দোকান বন্ধ বলেই জানায় চিকিৎসককে।

Advertisement

ঠিক সেই সময় বোনের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন ওই তরুণী। ভয় লাগছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। সেই শেষবার। এরপরই ফোন সুইচড অফ হয়ে যায় তাঁর। তখন ঘড়ির কাঁটা ৯টা ৪৫ মিনিট। পুলিশের দাবি, ততক্ষণে টোল প্লাজা থেকে কিছু দূরে চার যুবক তরুণীকে টেনে নিয়ে যায়। চলে নারকীয় অত্যাচার। ধর্ষণ করে রাত ১০টা ২০ মিনিটের মধ্যে খুন করা হয় তরুণী চিকিৎসককে। একটি লরির মধ্যে তরুণী চিকিৎসকের দেহ তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ঠিক রাত ১০টা ২৮ মিনিটের থেকে ঘটনাস্থল ছাড়ে অভিযুক্তরা। আরিফ এবং নবীন নামে দুই যুবক তাঁর স্কুটি নিয়ে চলে যায়। কোঠুর গ্রামে স্কুটির নম্বর প্লেট খুলে রেখে দিয়ে চলে যায় তারা। রাত ১টা নাগাদ পেট্রলের খোঁজ শুরু করে। দুই জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর পেট্রল পায় তারা। আড়াইটে নাগাদ চত্তনপল্লির কাছে তরুণী চিকিৎসকের দেহ আগুন লাগিয়ে দেয় ওই অভিযুক্তরা।

[আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের আস্থাভোটের আগে ‘দাদা’ মোদিকে ধন্যবাদ উদ্ধবের, ফের শুরু জল্পনা]

বৃহস্পতিবার সকালে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর গলায় গণেশের লকেটের সাহায্যে পরিজনরা ওই তরুণী চিকিৎসকের দেহ শনাক্ত করে। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। মহম্মদ আরিফ, জল্লু শিবা, জল্লু নবীন এবং চিন্তাকুন্টা চেন্নাকেসাভুলু নামে চারজনকে গ্রেপ্তার করে তারা। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিজনেরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement