Advertisement
Advertisement

ইলেকট্রিক শক দিয়েই স্বীকারোক্তি আদায় পুলিশের, প্রদ্যুম্ন কাণ্ডে বিস্ফোরক কন্ডাক্টর

অকথ্য অত্যাচারের কাহিনি শোনালেন কন্ডাক্টর।

Cops tortured, forced me to confess to killing of Pradyumn: Ashok Kumar
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 23, 2017 9:31 am
  • Updated:September 22, 2019 6:54 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কী অন্যায় করেছিলেন জানতেন না। গারদের ওপারে চলে গিয়েছিলেন প্রশাসন-পুলিশ-প্রভাবশালী চক্রের জেরে। ৭৫ দিন পর প্রদ্যুম্ন হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ থেকে জামিনে মুক্ত পেলেন কন্ডাক্টর অশোক কুমার। বাড়ি পৌঁছেই পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি।

পাঠ্যবইতে অন্তর্ভুক্ত হবে রানি পদ্মাবতীর জীবনী, শিবরাজের নিদান ]

Advertisement

হরিয়ানার রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র প্রদ্যুম্ন ঠাকুর হত্যাকাণ্ডে কন্ডাকটরকেই দোষী সাব্যস্ত করেছিল পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছিল অশোক কুমারকে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল, বয়ানে দোষ স্বীকার করে নিয়েছিলেন অশোক। কিন্তু যেভাবে সে বয়ান আদায় করা হয়েছিল তা অকল্পনীয়। সিবিআই তদন্তের সময় থেকেই তার কিছু আঁচ মিলেছিল। জামিনে মুক্ত হয়ে অশোক কুমার সে বিষয়ে মুখ খুলেছেন। পুলিশ যে তাঁর উপর অকথ্য অত্যাচার চালিয়েছে, তা জানাতে কসুর করেননি। তাঁর স্ত্রী জানাচ্ছেন, উলটোদিকে ঝুলিয়ে বেধড়ক মারধর তো করা হয়েইছে, এমনকী ইলেকট্রিক শকও দেওয়া হয়েছে। মাদক সেবন করিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছিল বলে অভিযোগ অশোক কুমারের স্ত্রীর।

পুলিশের হাত থেকে সিবিআইয়ের কাছে ভার যাওয়ার পর থেকেই তদন্তের গতিপ্রকৃতি বদলে গিয়েছিল। জানা যাচ্ছিল, কন্ডাক্টর দোষী নন। বস্তুত, পুলিশ অশোক কুমারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছিল তার কোনও যৌক্তিকতাই খুঁজে পাচ্ছিলেন না কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে কী উদ্দেশ্যে একজন কন্ডাক্টর হত্যা করবেন, তার কোনও মোটিভ পাচ্ছিলেন না তাঁরা। এমনকী যৌনতার যে তত্ত্ব খাড়া করেছিল পুলিশ তাও ধোপে টেকেনি। তাঁদের তদন্তে উঠে আসে অন্য তথ্য। জানা যায়, প্রভাবশালীর পুত্রকে বাঁচাতেই পুলিশ নির্দোষ কন্ডাক্টকরের বিরুদ্ধে দোষ চাপিয়েছিল। পুরোটাই সাজানো গল্প। এরপরই অশোক কুমারের জামিন চান তাঁর আইনজীবী। অবশেষে তা মঞ্জুর হয়েছে। আবার নিজের পরিবারের কাছে ফিরেছেন নির্দোষ কন্ডাক্টর।

নাবালিকা স্কুলছাত্রীদের ধর্ষণে অভিযুক্ত ৮৫ বছরের বৃদ্ধ ]

গোড়া থেকেই স্বামীকে নির্দোষ দাবি করেছিলেন অশোক কুমারের স্ত্রী। বৃহস্পতিবার জামিন মঞ্জুর হওয়ার পর তিনি জানান, “পুলিশ ঠিকঠাক করে তদন্ত করেনি। উলটে অত্যাচার করে বয়ান নিয়েছিল। উলটোদিকে ঝুলিয়ে মারধর করেছে। মাদক খাইয়ে স্বীকারোক্তি নিয়েছে। তবে বিচারব্যবস্থায় আমাদের আস্থা ছিল। আজ খানিকটা হলেও বিচার মিলল।”

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement