সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহামারি রুখতে দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া আর বাকি সবকিছুই প্রায় বন্ধ। রুটিরুজি বন্ধ হয়েছে বহু মানুষের। সরকারি সাহায্য মিললেও তাতে আস্থা রাখতে পারছেন না অনেকেই। এমন পরিস্থিতিতে ওষুধ, খাবার না পেয়ে আত্মহহ্ত্যার হুমকি দিল চণ্ডীগড়ের এক পরিবার। যদিও পুলিশি হস্তক্ষেপে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে মহামারির আকার নিয়েছে করোনার সংক্রমণ। ১০ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছে ৩০ হাজারের বেশি। ভারতেও ক্রমশ চওড়া হচ্ছে করোনার থাবা। ইতিমধ্যে হাজার ছাড়িয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৩ জনের। সংক্রমণ রুখতে সামাজিক নিরাপত্তাকে হাতিয়ার করেছে সরকার। আর তাই দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছেন। কিন্তু এর জেরে প্রায় সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ। কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। ফলে তাঁদের দিনগুজরান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার রাতে চণ্ডীগড় পুলিশের কাছে একটি ফোন আসে। ফোন করে এক মহিলা জানান, তাঁর স্বামী ঠিকা শ্রমিক। লকডাউনের জেরে কাজ হারিয়েছেন। ফলে তাঁদের কাছে ওষুধ, খাবার কেনার টাকা নেই। অতিকষ্টে দিনগুজরান হচ্ছে। তাঁদের এক মাত্র সন্তানও দুধের শিশু। তার জন্যও খাবার কিনতে পারছেন না। তাই আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনও উপায় নেই। ফোনে ওই পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন পাঞ্জাব পুলিশের সুপারিন্টেন্ডেন্ট দলবীর সিং। ওই পরিবারের থেকে বাড়ির ঠিকানা নিয়ে স্থানীয় পুলিশ কর্মীদের নিয়ে ওই পরিবারের কাছে পৌঁছে যান। তাঁদের খাবার-ওষুধ পৌঁছে দেন।
প্রসঙ্গত, লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই পাঞ্জাব পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। লকডাউন অমান্যকারীদের শাস্তি দেওয়ায়, তাদের অমানবিক বলেও চিহ্নিত করেছিলেন নেটিজেনরা। কিন্তু এদিন তাদের এক অন্যরূপ সামনে এল। যা দেখে নেটিজেনদের একাংশ বলছেনন, ‘স্যালুট স্যার!’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.