সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খাকি উর্দি অতীত! যোগী রাজ্য বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে (Kashi Vishwanath Temple) পুলিশের গায়ে দেখা গিয়েছে গেরুয়া পোশাক। পুলিশের এমন পূজারি অবতারে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। মন্দিরে পুলিশের পোশাক নীতি পরিবর্তনের ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর তীব্র সমালোচনায় সরব হলেন সপা প্রধান অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। প্রশ্ন তুললেন, কার নির্দেশে এই ঘটনা ঘটেছে? পাশাপাশি, যে শীর্ষ আধিকারিকরা পুলিশের পোশাক বদলের এমন নির্দেশ জারি করেছে তাঁদের বরখাস্ত করার দাবিতে সরব হলেন তিনি।
গেরুয়া ধুতি-পাঞ্জাবি, কপালে তিলক, গলায় রুদ্রাক্ষের মালা! কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের গর্ভগৃহে দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের জন্য এই পোশাক বরাদ্দ করা হয়েছে সম্প্রতি। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মন্দিরে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে এরাই কাজ করবেন। পুলিশ কমিশনার জানান, নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি পুণ্যার্থীদের সতর্কতার পাঠও দেবেন এই পুলিশকর্মীরা। এরপরই বিতর্ক চরম আকার নেয়। পূজারির পোশাকে থাকা পুলিশকর্মীদের ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় তুলে ধরে অখিলেশ লেখেন, “পুলিশের ঠিক কোন নিয়মাবলীতে পুলিশকর্মীদের পূজারির পোশাক পরতে বলে হয়েছে? কার নির্দেশে এই ঘটনা ঘটেছে? এই ধরনের নির্দেশ যে আধিকারিকরা দিয়েছেন তাঁদের অবিলম্বে বরখাস্ত করা উচিৎ। আগামী দিনে কোনও অপরাধী এই ধরনের পোশাক পরে সাধারণ মানুষকে ঠকাতে পারে তখন প্রশাসন জবাব দিতে পারবে? এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়।”
पुजारी के वेश में पुलिसकर्मियों का होना किस ‘पुलिस मैन्युअल’ के हिसाब से सही है? इस तरह का आदेश देनेवालों को निलंबित किया जाए। कल को इसका लाभ उठाकर कोई भी ठग भोली-भाली जनता को लूटेगा तो उप्र शासन-प्रशासन क्या जवाब देगा।
निंदनीय! pic.twitter.com/BQUFmb7xAA
— Akhilesh Yadav (@yadavakhilesh) April 11, 2024
এদিকে পূজারির বেশে পুলিশ প্রসঙ্গে বারাণসী পুলিশের দাবি, প্রতিদিন ভক্তের জোয়ারে ভাসে ভগবানের মন্দির। এক সময় গর্ভগৃহের শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে। সেখানে দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের কথা শুনতে চান না ভক্ত, সাধু, সন্তরা। বরং পুরোহিতদের কথা তাঁরা মান্য করেন বেশি। সেই কারণেই পুলিশের পোশাকে বৈপ্লবিক এই পরিবর্তন। বারাণসীর পুলিশ কমিশনার মোহিত আগরওয়াল জানান, দূরদূরান্ত থেকে আসা পুণ্যার্থীদের সামলাতে হয় মন্দিরের দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের। তাই মন্দির চত্বরে পুলিশি ব্যবস্থা অন্য রকম হওয়া উচিত। সেই ব্যবস্থা মন্দিরের পরিবেশের সঙ্গে তাল মিলিয়েই হওয়া উচিত।
যদিও যোগীরাজ্যে ধর্মের ফানুসে হাওয়া ভরে পুলিশকে পূজারি সাজানোয় অনেক পুন্যার্থীর অভিযোগ, “তীর্থস্থানে ভিড় সামালাতে পুলিশ যদি কাউকে ধাক্কা দেয় সেটা এতটাও সমস্যাজনক নয়, কিন্তু এই একইকাজ যদি কোনও পুরোহিত করেন তাহলে তা ভক্তদের ভাবাবেগে আঘাত করবে। যা পুন্যার্থীদের জন্য মেনে নেওয়া সহজ নয়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.