সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারে নাকি মূষিককূল সাবাড় করে দিয়েছিল লিটার লিটার মদ। প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডে তাদের দৌরাত্ম্য কেন বন্ধ থাকবে। ধানবাদের একটি জেলে সম্প্রতি ৫০ হাজার কেজি গাঁজা উধাও হয়ে যায়। খোঁজ খোঁজ করে পুলিশ জানতে পারে ইঁদুররা যত নষ্টের গোড়া। তারাই গাঁজা খেয়ে উদর ভর্তি করেছে। পুলিশের এমন যুক্তিকে আদালত চত্বরে হাসির রোল ওঠে।
[বাবা গো বাবা! যৌন কুকীর্তিতে কম যান না এই ‘বাবা’রাও]
পুলিশ জানিয়েছে গত বছরের মে মাসে প্রায় দেড় কুইন্টাল গাঁজা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। ঘটনায় ধরা পড়েছিল পাঁচজন। ধানবাদের বারওয়াদা থানায় বিপুল পরিমান গাঁজা রাখা হয়েছিল। এই নিয়ে মামলা হয়েছিল ধানবাদের একটি আদালতে। ওই থানার ওসি দীনেশ কুমার জেলা আদালতে এমন যুক্তি দেখান। কেন ৫০ কেজি গাঁজা কম। বিচারকের প্রশ্নের জবাবে আমতা আমতা করতে থাকেন দীনেশ কুমার। ফাইল থেকে একটি রিপোর্ট বের করে তিনি দাবি করেন মূষিককূল ওই বিপুল পরিমান গাঁজা সাবাড় করে দিয়েছে। প্লাস্টিকের প্যাকেটে মাদক রাখা হয়েছিল। তবে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি ওই পুলিশ অফিসার। তাঁর বক্তব্য, এটি আদালতের তদন্তর বিষয়। মন্তব্য করা ঠিক হবে না। পুলিশ সূত্রে খবর মালখানায় রক্ষণাবেক্ষণের বালাই নেই। তার ফলে এমন কিছু হতেই পারে। ৫০ কেজি গাঁজার আনুমানিক দাম প্রায় ৮ লক্ষ টাকা। অভিযোগ পুলিশকর্মীদের একাংশ ওই গাঁজা সরিয়ে ফেলে। দায় এড়াতে আপাতত ইঁদুরের ঘাড়ে দোষ দিয়ে অভিযুক্তরা রেহাইয়ের ছক কষে।
[নাগাল্যান্ডের স্বাধীনতা চেয়ে তেরঙ্গায় আগুন তরুণীর, ভাইরাল ভিডিও]
বছর দেড়েক আগে বিহারে এমন ঘটনা ঘটেছিল। বিহারের একটি থানার গুদামে রাখা হয়েছিল কয়েক লিটার বাজেয়াপ্ত করা মদ। সেখানে মদ উধাও হয়ে গিয়েছিল। পুলিশ তখন যুক্তি দিয়েছিল যত দোষ ইঁদুরের। তারাই সুরাপান করে। ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচিতে আড়ালে-আবডালে গাঁজা বিক্রি হয়। পুলিশি অভিযান চলার সময় তা সাময়কিভাবে বন্ধ থাকে। একটু ঢিলেমি দিলেই ফের তা শুরু হয় বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তবে গাঁজা উধাও হয়ে যাওয়া নিয়ে এমন যুক্তি অনেকের কাছে গাঁজাখোরি ঠেকছে। ইঁদুর নয়, পুলিশকর্মীরা একটু বেশি সেবা করেছিলেন। তার ফলে এই অবস্থা হয় বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.