ফাইল ছবি।
স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি: প্রায় ২৫-৩০ জন ভাস্কর ও গ্রানাইট শিল্পীর তত্ত্বাবধানে নেতাজির মূর্তি তৈরি হতে লাগবে আট মাস সময়। স্বাধীনতা দিবসে হবে মূর্তির উন্মোচন। তাই আজ রবিবার অর্থাৎ নেতাজির জন্মদিবসে হলোগ্রাম মূর্তির উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। কিন্তু তার আগে নেতাজির মূর্তি তৈরির দায়িত্বপ্রাপ্ত শিল্পীর মন্তব্যে বিতর্ক।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর (Subhas Chandra Bose) মূর্তি তৈরিতে উদ্দেশ্য যাই থাকুক, তা তৈরির দায়িত্ব অবশ্য দক্ষ হাতেই দেওয়া হয়েছে। ন্যাশনাল মডার্ন আর্ট গ্যালারির ডিরেক্টর অদ্বৈত গদানায়কের নেতৃত্বে তৈরি হবে মূর্তি। যাঁর বিশেষত্বই হল ব্ল্যাক গ্রানাইটে তৈরি ভাস্কর। রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর ডান্ডি মার্চের অবয়ব তাঁরই সৃষ্টি। গান্ধী মিউজিয়ামে তাঁর বাড়ির প্রতিকৃতি ‘হৃদয় কুঞ্জ’-ও তৈরি করেছেন তিনি। নেতাজির মূর্তির জন্য ব্ল্যাক গ্রানাইট আনা হচ্ছে তেলেঙ্গানা থেকে। তাঁকে এই গুরুদায়িত্ব দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে অদ্বৈত বলেন, “আমি অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। ভাষ্কর হিসাবে এটা আমার কাছে বিশেষ সম্মানের।”
মূর্তি প্রসঙ্গে বলেন, “শুধু নেতাজির দৃঢ়তার পরিচয় দিতে কঠিন গ্রানাইট বাছা হয়নি। এর রং কালো। যা মহাকালী ও শ্রীকৃষ্ণেরও রং। ফলে নেতাজির মূর্তি তৈরি করতে গ্রানাইটের থেকে ভাল উপাদান আর কিছুই হতে পারত না।” শিল্পীর এই বক্তব্য নতুন করে আরেক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ইতিহাস প্রমাণ করে, শুধু সাম্রাজ্যবাদই নয়, সুভাষচন্দ্র বসু ছিলেন সাম্প্রদায়িকতারও চরমতম বিরোধী। তাঁর মূর্তির সঙ্গে কীভাবে জুড়ে যেতে পারে এই ধরনের বক্তব্য? শিল্পী যা বললেন, তা কি তাঁর মনের কথা?
উল্লেখ্য, রবিবার ৩০,০০০ লুমেন ফোরকে প্রজেক্টরের মাধ্যমে অদৃশ্য হাই গেইন সম্পন্ন ৯০ শতাংশ স্বচ্ছ হলোগ্রাফিক স্ক্রিনে তৈরি হবে নেতাজির থ্রিডি অবয়ব। সংসদের সেন্ট্রাল হলে নেতাজির প্রতিকৃতিতে হবে মাল্যদান। এক অনুষ্ঠানে ২০১৯, ২০২০, ২০২১ এবং ২০২২ সালের ‘সুভাষচন্দ্র বসু আপদা প্রবন্ধন পুরস্কার’ প্রদান করবেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে মোট সাতটি পুরস্কার প্রদান করা হবে বলেও জানা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.